চমেক হাসপাতালে অবহেলায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসকদের অবহেলায় রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্বজনরা।
রোববার (৫ জুলাই) সকালে হাসপাতালটির মানসিক স্বাস্থ্য ওয়ার্ডে শামীমা আক্তার নামে এক রোগীর মৃত্যু হয়। এর পর চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে রোগীকে চিকিৎসা না দেওয়ার অভিযোগ আনলে হাসপাতালের আনসার বাহিনী দিয়ে তাদের ঠেকানোর চেষ্টা করা হয় বলে জানান মৃতের জামাতা মো. আরিফ।
তিনি বলেন, রোগী গত ১০ দিন ধরে সুস্থ। কিন্তু মানসিক সমস্যা থাকার কারণে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত চার-পাঁচ দিন ধরে অবস্থা খারাপ হলে রোগীকে বেঁধে রাখা হয়। একের পর এক ইনজেকশন ও ওষুধ দিয়েছে কিন্তু রোগীকে একবারও গিয়ে দেখেনি চিকিৎসকরা। গত তিনদিন ধরে রোগীর অবস্থা সংকটাপন্ন ছিল। চিকিৎসক অফিসে বসে থাকে, কিন্তু হাতে পায়ে ধরেও রোগীর কাছে নিতে পারিনি। তারা আমাদের সঙ্গে কথা-ই বলতে চান না।
তিনি আরও বলেন, ‘সকালে (রোববার) রোগী মারা যাওয়ার পর প্রতিবাদ করলে আমাদের বের করে দেওয়ার জন্য হাসপাতালের আনসার বাহিনী নিয়ে আসা হয়। তারা আমাদেরকে জোর করে মরদেহ দ্রুত নিয়ে যাওয়ার জন্য বাধ্য করেছে’।
চিকিৎসকের অবহেলায় মৃত্যু হওয়া রোগী শামীমা আক্তার হাসপাতালের মানসিক স্বাস্থ্য ওয়ার্ডে ডা. পঞ্চানন আচার্য্যের অধীনে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
রোগীকে চিকিৎসা না দেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে ডা. পঞ্চানন আচার্য্য বলেন, বিষয়টি একেবারেই ঠিক নয়। অন্যান্য রোগীদের যেভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়, মানসিক রোগীর চিকিৎসা তেমন নয়। ওই রোগী আগে থেকেই রক্তশূন্যতা ও বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছিলেন। বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষাও করা হয়। সকালে হঠাৎ করে রোগীর অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করছি, রোগীকে খাবার খাওয়ানোর সময় তা হয়তোবা ফুসফুসে চলে গেছে।
তিনি আরও বলেন, কারও নিকট আত্মীয় হারালে মানুষ এমনই আচরণ করবে-এটাই স্বাভাবিক। তবে রোগীকে চিকিৎসা না দেওয়ার অভিযোগ একেবারেই সঠিক নয়।