চবি ছাত্রলীগে সংঘর্ষের পর দুই হলে তল্লাশি, আটক ২০
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের দুটি পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের পর দুটি হলে তল্লাশি চালিয়ে ২০ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার বিকালে দুই পক্ষের মারামারির পর রাতে শাহ আমানত ও সোহরাওয়ার্দী হলে তল্লাশি চালানো হয় বলে হাটহাজারী থানার এসআই আবুল বাশার জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ২০ জনকে আটক করা হয়েছে। জিঙ্গাসাবাদের পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আটকরা শাটল ট্রেনের বগিভিত্তিক ছাত্রলীগের গ্র“প সিএফসি ও বিজয় গ্র“পের সদ্যস্য বলে তিনি জানান।
এবিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এস এম মনিরুল হাসান বলেন, এরা সবাই সংঘর্ষের ঘটনায় সন্দেহভাজন। আগে প্রক্টরের গাড়ি ও পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় অনেক ছাড় দেওয়া হয়েছিল। এখন থেকে অপরাধীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আগের দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা চলার সময় সিএফসির কর্মী শামীম আজাদকে মাঠ থেকে বের করে দেওয়া নিয়ে বিজয় গ্র“পের এক কর্মীর সঙ্গে তার বাগবিতণ্ডা হয়। শামীমকে মাঠ থেকে বের করে দেওয়ার খবর শুনে সিএফসির কর্মীরা সোহরাওয়ার্দী হলে গিয়ে বিজয় গ্র“পের কর্মীদের উপর হামলা চালালে তিনজন আহত হয়।
এর প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার ক্যাম্পাসে অবরোধের ডাক দেয় বিজয় গ্র“পের কর্মীরা। তবে ক্যাম্পাসে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার কারণে আগেই সকল বিভাগ ও অনুষদের ক্লাস এবং পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছিল। এদিকে সকাল থেকে ক্যাম্পাসে শিক্ষক বাস এবং অভ্যন্তরীণ রুটের বাস চলাচল স্বাভাবিক আছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়গামী শাটল ট্রেন বন্ধ আছে।
ষোলশহর রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো জাকির হোসেন বলেন, সকাল সাড়ে ৭টার শাটল ট্রেন বটতলি স্টেশন থেকে ছেড়ে আসলেও রেওলয়ে কর্তৃপক্ষ ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে ষোলশহর স্টেশন থেকে ফিরে যায়।