চট্টগ্রামে প্রথম প্লাজমা নেওয়া ডা. সমিরুল আর নেই
করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রথম প্লাজমা থেরাপি নেওয়া চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অর্থোপেডিক্স বিভাগের চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. সমিরুল ইসলাম আর নেই।
বুধবার (২৪ জুন) দুপুর আড়াইটার দিকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন বলে জানিয়েছেন হাসপাতালটির মহাব্যবস্থাপক ডা. মোহাম্মদ সেলিম।
ডা. মোহাম্মদ সেলিম বলেন, গত ১৩ জুন থেকে আমাদের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তাকে করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্লাজমা থেরাপি দেওয়া হয়েছিলো। করোনার কারণে তার ফুসফুসে যে ক্ষতি হয়েছে তা সারানো যায়নি। হঠাৎ ভেন্টিলেশন প্রয়োজন হলে আমরা তাকে ভেন্টিলেটর সাপোর্ট দেই। তারপরও বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
এর আগে প্লাজমা দেওয়ার পর গত ৩১ মে দ্বিতীয় দফা করোনা টেস্ট করানো হলে ফলাফল নেগেটিভ আসে। সেই সময় ডা. সমিরুলের চিকিৎসাসেবা দেওয়া চমেক হাসপাতালে মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. অনিরুদ্ধ ঘোষ করোনার কারণে তার ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কথা জানান।
গত ২৬ মে রক্তের প্লাজমা দেওয়া হয় চমেক হাসপাতালের এ চিকিৎসককে। এর আগে ডা. সামিরুল ইসলাম করোনা আক্রান্ত হয়ে ১১ দিন বাসায় চিকিৎসা নেন। গত ২১ মে তাকে চমেক হাসপতালের একটি কেবিনে চিকিৎসা দেওয়া হয়।