চকবাজার ট্র্যাজেডি: নিহতদের ১৩ জনই নোয়াখালীর
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
ঢাকার চকবাজার চুড়িহাট্টায় নিহতদের মধ্যে অন্তত ১৩ জনের বাড়ি নোয়াখালী বলে জেলা প্রশাসন জানিয়েছে। জেলা প্রশাসক তন্ময় দাস সাংবাদিকদের বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে ও শুক্রবার সকালে নোয়াখালীর বিভিন্ন এলাকায় এই ১৩ জনের লাশ দাফন করা হয়।
বুধবার রাতে চুড়িহাট্টা মোড়ের কাছে একটি পিকআপের সিলিন্ডার বিস্ফোরণের পর পাঁচটি ভবনে আগুন ধরে যায়। ওই ভবন ও আশপাশের দোকানে থাকা রাসায়নিক আর প্লাস্টিক-পারফিউমের গুদাম আগুনকে ভয়াবহ মাত্রা দেয়।
ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিট দীর্ঘ ১৪ ঘণ্টার চেষ্টায় সেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে, কিন্তু ততক্ষণে চুড়িহাট্টা মোড় পরিণত হয় মৃত্যুপুরীতে। ঘটনাস্থল থেকে ৬৭ জনের পোড়া লাশ মর্গে পাঠান উদ্ধারকর্মীরা, নয়জনকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে।
নিহত ৬৭ জনের মধ্যে ৪৫ জনের মরদেহ শনাক্ত করার পর স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগ। এখনও যেসব লাশ শনাক্ত করা যায়নি তাদের মধ্যেও নোয়াখালীর আরও কেউ আছে কিনা তা এখনও জানা যায়নি।
জেলা প্রশাসনের তালিকা অনুযায়ী নোয়াখালীর নিহত ১৩ জন হলেন : ১. কামাল হোসেন, বাবা নূর মোহাম্মদ, গ্রাম মুজাহিদপুর, উপজেলা বেগমগঞ্জ; ২. মোশাররফ হোসেন, বাবা মাহফুজুর রহমান, গ্রাম হরিদ বলবপুর, উপজেলা বেগমগঞ্জ; ৩. আলী হোসেন, বাবা বুলু মিয়া, গ্রাম পশ্চিম নাটেশ্বর; ৪. হেলাল হোসেন, বাবা সৈয়দ আহম্মদ, গ্রাম পূর্ব নাটেশ্বর; ৫. সিদ্দিক উলাহ, বাবা সুরুজ মিয়া, গ্রাম পূর্ব নাটেশ্বর; ৬. মাসুদ রানা, বাবা সাহেব উলাহ, গ্রাম ঘোষকামতা; ৭. মাহবুবুর রহমান রাজু, বাবা সাহেব উলাহ, ৮. আয়েশা খাতুন, স্বামী রফিকুল মিয়া, গ্রাম চাঁনগাঁও; ৯. আবদুর রহিম, বাবা আলী আজ্জম, গ্রাম ওয়াসেকপুর; ১০. জসিম উদ্দিন, বাবা শহীদুল হক, গ্রাম চর এলাহী, উপজেলা কোম্পানীগঞ্জ; ১১. নাছির উদ্দিন, বাবা গাউস মিয়া, গ্রাম নাটেশ্বর; ১২. আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, বাবা সিরাজ মিয়া, গ্রাম দৌলতপুর; ১৩. শাহাদাত উলা হিরা, বাবা মমিন উলা, গ্রাম মির্জা নগর।