ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’: উত্তাল সাগর
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে সাগর উত্তাল রয়েছে। সাগরের জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ থেকে ৪ ফুট উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে।
মঙ্গলবার (২৫ মে) সকালে কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ মো. আবদুর রহমান বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের কারণে কক্সবাজারকে দুই নম্বর সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ইতিমধ্যে ইয়াসের প্রভাবে কক্সবাজারে বাতাসের গতিবেগ বেড়েছে। বয়ে যাচ্ছে ঝড়ো হাওয়া। সাগরের পানির উচ্চতা ৩ থেকে ৪ ফুট উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী দুই একদিন এই অবস্থা বিরাজ করবে। এছাড়া উচ্চ জোয়ারের কারণে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।
এদিকে মঙ্গলবার (২৫ মে) সকাল থেকে সাগরের পানির উচ্চতা বেড়ে আঘাত হানছে জিও ব্যাগে। আবার অনেক সময় পানি জিও ব্যাগ ডিঙিয়ে আঘাত করছে ঝাউবিথী ও ট্যুরিস্ট পুলিশের বক্সে। আর সৈকতে মানুষজন যাতে নামতে না পারে তার জন্য দায়িত্ব পালন করছে লাইফ গার্ডকর্মী ও ট্যুরিস্ট পুলিশ।
সি সেইভ লাইফ গার্ডের ইনচার্জ সাইফুল্লাহ সিফাত বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে সাগর উত্তাল রয়েছে। উচ্চ জোয়ারে প্রতি বছরের মতো এবছরও ঝাউবিথীতে আঘাত হানছে। এতে গত দু’দিনে প্রায় দুই শতাধিক ঝাউগাছ উপড়ে পড়েছে।’
ট্যুরিস্ট পুলিশের উপ-পরিদর্শক ইয়ার হোসেন বলেন, ‘জোয়ারের পানি ট্যুরিস্ট পুলিশ বক্সে আঘাত করছে। জিও ব্যাগও ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তবে সাগরের কেউ যাতে প্রবেশ করতে না পারে তার জন্য সজাগ রয়েছে পুলিশ।’
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে উপকূলে নিম্নাঞ্চল। বিশেষ করে মহেশখালী, কুতুবদিয়া, পেকুয়া ও কক্সবাজার সদরের বেশ কিছু গ্রাম প্লাবিত হয়েছে বলে জানিয়েছে এসব এলাকার বাসিন্দারা।