ঘূর্ণিঝড় আম্ফান : খুলনায় ৩৪৯টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত, মাইকিং শুরু
দ. প্রতিবেদক
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ মোকাবিলা ও সম্ভাব্য ক্ষয়-ক্ষতি এড়াতে খুলনার ৩৪৯টি আশ্রয় কেন্দ্রের পাশাপাশি উপকূলীয় এলাকার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়েছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ঘূর্ণিঝড়ে দুই লাখ ৩৮ হাজার ৯৫০ জনকে আশ্রয় কেন্দ্রে আনতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া জেলা-উপজেলায় পর্যায়ে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। এরই মধ্যে উপকূলবাসীকে সতর্ক করতে মাইকিং শুরু হয়েছে। আজ রবিবার অনলাইনে খুলনা জেলা উন্নয়ন সমন্বয় সভা শেষে এ তথ্য জানিয়েছেন খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন।
তিনি বলেন, করোনার মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে আশ্রয় কেন্দ্রের পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে কাজে লাগানো হচ্ছে। উপজেলা প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতি এড়াতে রেডক্রিসেন্ট, সিপিপিসহ ২ হাজার ৪৬০ জন স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছেন। বেসরকারি এনজিও’র রয়েছে আরও ১১শ’ স্বেচ্ছাসেবক। এরই মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। সেখানে প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি দেখে প্রয়োজনে উপকূলবাসীকে দ্রæত আশ্রয় কেন্দ্রে আনতে স্বেচ্ছাসেবক কর্মীরা কাজ করছেন।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ সকাল ৬টায় মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘূণীভূত হয়ে উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।