November 29, 2024
আঞ্চলিকলেটেস্ট

ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে খুলনায় বৃষ্টিপাত শুরু

দ. প্রতিবেদক : বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট সুপার সাইক্লোন আম্ফানের প্রভাবে খুলনায় বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুর থেকে মেঘলা ও গুমোট আবহাওয়া মধ্যে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিপাত শুরু হয়। খুলনা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিরুল আজাদ দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিনকে জানিয়েছেন- ঘূর্ণিঝড় আম্ফান আঘাত হানার পর পর্যন্ত এমন আবহাওয়া থাকতে পারে।

তিনি আরও জানান, গত কয়েকদিন ধরে খুলনায় মৃদু তাপমাত্রা প্রবাহিত হচ্ছে। সেই সাথে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে আকাশে মেঘ ও দমকা বাতাস বয়ে যাচ্ছে। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকেই আকাশে মেঘ ও মাঝে মধ্যে দমকা বাতাস বয়ে যাচ্ছে। দুপুর থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিপাতও শুরু হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার পর পর্যন্ত এমন আবহাওয়া অব্যাহত থাকবে। তবে আপাতত গরম অনুভুত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। একে ঘূর্ণিঝড়ের পূর্ব লক্ষণ বলে দাবি করছেন তিনি।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলা ও সম্ভাব্য ক্ষতি এড়াতে খুলনার ৩৪৯টি আশ্রয় কেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি উপকূলীয় এলাকার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও খুলে দেওয়া হয়েছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে উপকূলের দুই লাখ ৩৮ হাজার ৯৫০ জনকে আশ্রয় কেন্দ্রে আনার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। তবে এখনো ঘূর্ণিঝড়ের কোন লক্ষণ না থাকায় আশ্রয় কেন্দ্রে আসেনি মানুষ। জেলা-উপজেলায় পর্যায়ে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।

এরই মধ্যে উপকূলবাসীকে সতর্ক করতে লাল পতাকা টানানো ও মাইকিং শুরু হয়েছে।

খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন বলেন, করোনার মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে আশ্রয় কেন্দ্রের পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে কাজে লাগানো হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতি এড়াতে রেডক্রিসেন্ট, সিপিপিসহ ২ হাজার ৪৬০ জন স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছেন। বেসরকারি এনজিও’র রয়েছে আরো ১১শ’ স্বেচ্ছাসেবক।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় আসার খবরে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন খুলনার কয়রা, পাইকগাছা, দাকোপসহ উপকূলবাসী। দুর্বল বেড়িবাঁধের কারণে কয়রার হরিণ খোলা, গোবরা, উত্তর বেদকাশী, দক্ষিণ বেদকাশী ও মহারাজপুরের মানুষ রয়েছে চরম আতঙ্কে। ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানলে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হতে পারে।

 

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *