ঘুষ লেনদেনের মামলায় গ্রেপ্তার ডিআইজি মিজান
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে দুদকের দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে সাময়িক বরখাস্ত পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানকে। চলিশ লাখ টাকার ঘুষ লেনদেনের মামলায় গতকাল রবিবার মিজানকে আদালতে হাজির করা হলে তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা দুদক পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যা। বিচারক কেএম ইমরুল কায়েশ শুনানি নিয়ে মিজানকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন বলে আদালতের পেশকার ফয়েজ আহমেদ নিশ্চিত করেছেন।
গত ১৬ জুলাই দুদক পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যা ঢাকার এক নম্বর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মিজানুর রহমান ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে এই মামলা করেন। এক নারীকে জোর করে বিয়ের পর নির্যাতন চালানোর অভিযোগ ওঠায় গত বছরের জানুয়ারিতে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনারের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় মিজানকে।
এর চার মাস পর তার সম্পদের অনুসন্ধানে নামে দুদক; এক হাত ঘুরে সেই অনুসন্ধানের দায়িত্ব পান কমিশনের পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির। সেই অনুসন্ধান চলার মধ্যেই ডিআইজি মিজান গত ৮ জুন দাবি করেন, তার কাছ থেকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন দুদক কর্মকর্তা বাছির।
এর সপক্ষে তাদের কথপোকথনের কয়েকটি অডিও ক্লিপ একটি টেলিভিশনকে দেন তিনি। ওই অডিও প্রচার হওয়ার পর দেশজুড়ে শুরু হয় আলোচনা। অভিযোগটি অস্বীকার করে বাছির দাবি করেন, তার কণ্ঠ নকল করে ডিআইজি মিজান কিছু ‘বানোয়াট’ রেকর্ড একটি টেলিভিশনকে সরবরাহ করেছেন।
অন্যদিকে ডিআইজি মিজান বলেন, সব জেনেশুনেই তিনি কাজটি করেছেন ‘বাধ্য হয়ে’। ঘুষের অভিযোগ ওঠার পর তাদের দুজনকেই সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পাশাপাশি দেশত্যাগে জারি করা হয় নিষেধাজ্ঞা। অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ফানাফিল্যাকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি অনুসন্ধান দল গঠন করে দুদক।