ঘুষের মামলায় হুদা দম্পতির বিচার চলবে
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
যমুনা সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ কাজে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে দুদকের করা মামলা বাতিল চেয়ে সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী নাজমুল হুদা ও তার স্ত্রী সিগমা হুদার আবেদন খারিজ করে দিয়েছে হাই কোর্ট। বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাই কোর্ট বেঞ্চ গতকাল বুধবার এ আদেশ দেয়। আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। আবেদনের পক্ষে ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা নিজেই শুনানি করেন।
পরে খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, এ আদেশের ফলে সাক্ষ্য গ্রহণের পর্যায়ে থাকা এই মামলার বিচার চলতে বাধা নেই। ২০০৮ সালের ১৮ জুন বিএনপির সাবেক নেতা নাজমুল হুদা ও তার স্ত্রী সিগমা হুদার বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে রাজধানীর মতিঝিল থানায় এই মামলা করেন দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ বেলাল হোসেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, যমুনা বহুমুখী সেতুর পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মার্গানেট ওয়ান লিমিটেডের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও পরিচালকের কাছ থেকে ২০০৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ২০০৬ সালের ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে ১৯টি চেকের মাধ্যমে ছয় লাখ টাকা ঘুষ নেন নাজমুল হুদা। সিগমা হুদা ঘুষ নেওয়ার ক্ষেত্রে স্বামীকে সহযোগিতা করেন।
পরে নাজমুল হুদার আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০১৬ সালে হাই কোর্ট মামলাটি বাতিল করে রায় দেয়। এর বিরুদ্ধে আপিল করে দুদক। ২০১৭ সালের ৭ জুন আপিল বিভাগ হাই কোর্টের ওই সিদ্ধান্ত বাতিল করে দেয়।
পরে দুদকের সহকারী পরিচালক মনিরুল ইসলাম মামলাটি তদন্ত করেন। এই মামলায় গত বছর ২৭ ফেব্রæয়ারি নাজমুল হুদাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
গত বছর ৫ আগস্ট এ মামলায় অভিযোগপত্রের অনুমোদন দেয় কমিশন। অভিযোগ গঠনের পর মামলা বাতিল চেয়ে স¤প্রতি হাই কোর্টে আবেদন করেন নাজমুল হুদা। আগামী ১০ ফেব্রæয়ারি থেকে এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।