ঘুর্ণিঝড় ‘বুলবুল’র আঘাতে উপড়ে পড়া তালার খলিলনগর এলাকার সরকারী রাস্তার বড় বড় গাছ উধাও!
তালা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি
তালা উপজেলার খলিলনগর এলাকায় ঘুর্ণিঝড় “বুলবুল’র আঘাতে উপড়ে পড়া সরকারী রাস্তার পার্শ্বের বড় বড় গাছ গুলি লুটপাটের হিড়িক পড়েছে। এলাকার একটি কুচক্রী মহল ক্ষমতাসীন দলের পরিচয় দিয়ে স্থানাীয় জণপ্রতিনিধির যোগসাজসে দিনে দুপুরে গাছগুলি কেটে সাবাড় করছে। তবে আওয়ামী লীগের নেতৃস্থানীয়রা বলছেন এরা দলের কেউ নয়।
সরেজমিন তালা উপজেলার খলিলনগর ইউনিয়নের উত্তর নলতা, গেনালী, মহান্দী, গঙ্গারামপুর, ঘোষ নগর মাছিয়াড়া এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, ঘুর্ণিঝড় “বুলবুল’র আঘাতে রাস্তার দু-পাশের বড় বড় শিশু, মেহগনি, বাবলা গাছ সহ শত শত গাছ উপড়ে এবং হেলে পড়েছে। এ সকল পড়ে যাওয়া গাছগুলি স্থানীয় একটি কু-চক্রী মহল দিনে-দুপুরে উপজেলা প্রশাসনের বরাদ্দ দিয়ে কেটে বিক্রি করে দিচ্ছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। এছাড়া ক্ষমতাসীন দলের লোক পরিচয় দিয়ে তালা উপজেলার নলতা গ্রামের মৃত্যু বিসু মোল্লা’র পুত্র সাজ্জাত হোসেন মোল্লা (৪৫)’র নেতৃত্বে ৮/১০ জনের একটি প্রভাবশালী দল প্রতিদিন সকাল-থেকে রাত পর্যন্ত গাছ কেটে উধাও করার কাজে ব্যস্ত রয়েছে।
উত্তর নলতা গ্রামের নবু শেখের পুত্র মোহাম্মদ আলী শেখ (৪৬)ও তার জমজ ভাই আহম্মদ আহম্দে আলী শেখ (৪৬),আতাউর রহমান (৬০), আমিন উদ্দিন (৫৫) সহ অনেকেই জানান, সাজ্জাত মোল্লা প্রকাশ্যে গাছ কেটে মহান্দী “স” মিলে নিয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে সাজ্জাত মোল্লার কাছে জানতে চাইলে সে দম্ভোক্তি করে বলেন, আমরা আ’লীগ করি, দল চালাতে খরচ হয়, কোন সাহসে সাংবাদিক আমাদের গাছের খবর নিতে আসে। খলিলনগর ভূমি অফিসের সহকারী তহসীলদার জাকিরুল ইসলাম জানান, গাছ কাটার খবর পেয়ে সরেজমিন গিয়ে তাদেরকে কাটা গাছগুলি সাইজ করে সেখানে রাখতে বলে এসেছি। খলিলনগর ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম মোড়ল জানান, বিভিন্ন জায়গায় গাছ কাটার কথা শুনেছি, যারা গাছ কাটার সাথে জড়িত তারা আমাদের দলের কেউ নয়, দলের নাম ভাঙ্গিয়ে যারাই অপকর্ম করুক না কেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খলিলনগর ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতি সরদার ইমান আলী জানান, সাজ্জাত মোল্লা নামের কেউ দলের তেমন কোন পদে আছে বলে আমার জানা নেই, আর দলের নাম ভাঙ্গিয়ে কেউ সরকারী রাস্তার গাছ কাটলে তাতে সমর্থন করব না, বরং তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় খলিলনগর ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান রাজু জানান, অনেক স্থানে রাস্তার উপর গাছ পড়ে চলাচল রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। সেগুলি কেটে স্থানীয় মেম্বর বা ইউনিয়ন পরিষদের জিম্মায় রাখার কথা বলে এসেছি, এখন যদি কেউ তা “স’মিলে নিয়ে যায় তার দায়দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে।