November 28, 2024
আঞ্চলিক

ঘরে বসেই সরকারি ভাতা উত্তোলন করতে পারবেন খুলনার ভাতাভোগিরা

চলতি অর্থবছর থেকে জেলার লক্ষাধিক ভাতাভোগী এবার ঘরে বসেই সরকারি ভাতা ভোগ করতে পারবেন। এ কার্যক্রম হলে ভাতাভোগিরা নিজের সুবিধামত সময়ে অর্থ উত্তোলন করতে পারবেন।
সমাজসেবা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের আওতায় ছয়শ্রেণির ভাতা কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে।এগুলোর মধ্যে রয়েছে মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতা, অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ও প্রতিবন্ধী শিক্ষা উপবৃত্তি, বয়স্ক ভাতা, শিক্ষা উপবৃত্তি, বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্ত মহিলা ভাতা এবং বেদে ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠির জীবনমান উন্নয়ন ভাতা।
খুলনা জেলা সমাজসেবা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, খুলনায় অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতা ভোগ করছেন ১৭ হাজার ৯৮ জন। এসব ভাতা প্রাপ্তদের মধ্য থেকে শিক্ষা উপবৃত্তি পেয়ে থাকেন ১ হাজার ৩৩৯ জন। মহানগরী এবং বিভিন্ন উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের দেয়া তথ্যমতে, বিতরণকৃত ভাতার পরিমাণ ৮ কোটি ৮৮ লাখ ১১ হাজার ১০০ টাকা।
খুলনায় শিক্ষা উপবৃত্তি লাভ করেন ১ হাজার ৩৩৯ জন। তাদের মধ্যে বিতরণকৃত অর্থের পরিমাণ ২৯ লাখ ১২ হাজার ৪০০ টাকা।
জেলার মোট ৬৭ হাজার ৮৭৪ জন বয়স্ক ভাতা ভোগ করছেন। তাদের বিতরণকৃত অর্থের পরিমাণ ২৬ কোটি ৮০ লাখ ৪৭ হাজার টাকা।
বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্ত মহিলা ভাতা লাভ করছেন মোট ২৩ হাজার ৬০০ জন। তাদের মধ্যে বিতরণকৃত অর্থের পরিমাণ ৯ কোটি ৬৮ লাখ ৭১ হাজার ৫০০ টাকা।
জেলায় ২০১৮-১৯ অর্থবছরের হিসাব অনুযায়ি মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভোতাভোগীর সংখ্যা মোট ১ হাজার ৮৭১ জন। তাদের মধ্যে বিতরণকৃত টাকার পরিমাণ ৭ কোটি ৪৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
বেদে ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠির জীবনমান উন্নয়নে মোট ভাতাভোগির সংখ্যা ২৮৪ জন। বরাদ্দকৃত অর্থের পরিমাণ ৯ লাখ ১৬ হাজার টাকা।
সরকারি ভাতা প্রদানে ডিজিটালাইজেশনের বিষয়ে জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক খান মোতাহার হোসেন বলেন, চলতি অর্থবছর থেকে জেলার লক্ষাধিক ভাতাভোগি ঘরে বসেই ভাতা ভোগ করতে পারবেন। তারা নিজের ব্যাংক একাউন্ট, বিকাশ নম্বরে অথবা নিজের সুবিধামত মাধ্যম দিয়ে ভাতা তুলে নিতে পারবেন। তাদেরকে আর ভাতা উত্তোলনের জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা আর ব্যাংকে বসে থাকার প্রয়োজন হবে না।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *