ঘরে পোষা প্রাণী রেখেই ‘নিরাপদে’ সরে যাচ্ছেন চীনারা
চীনজুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে নতুন করোনা ভাইরাস। এ ভাইরাসের প্রথম শনাক্তস্থল দেশটির হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে নিরাপদ স্থানে চলে গেছেন অনেক মানুষ। পেছনে ফেলে গেছেন তাদের পোষা প্রাণীদের।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানায়, উহানে প্রায় ৫০ হাজার পোষা প্রাণী একা রয়ে গেছে। খাবারের অভাবে মৃত্যুর ঝুঁকিতে রয়েছে এসব প্রাণী।
ভাইরাসে সংক্রমণের আশঙ্কায় অনেক মানুষ দ্রুত এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। যাওয়ার সময় সঙ্গে নিতে পারেননি তাদের প্রিয় পোষা প্রাণীদের। কেউ কেউ ভেবেছেন জলদি ফিরে আসবেন। এভাবে তাদের পোষা প্রাণীগুলো ঘরে একা আটকে গেছে।
উহানের মেয়র ঝোও শিয়ানওয়াং বলেন, চীনের নতুন বছরের শুরুতেই প্রায় ৫০ লাখ মানুষ উহান ছেড়ে গেছেন। তাদের অধিকাংশই নিজেদের পোষা প্রাণীদের রেখেই চলে গেছেন। অনেকে প্রাণীগুলোকে খাবার দেওয়ার অনুরোধ করেছেন প্রাণী উদ্ধারকর্মীদের। প্রাণী অধিকার রক্ষাকর্মীরা এখনো ফেলে যাওয়া পোষা প্রাণীগুলোর সঠিক সংখ্যা হিসাব করতে ব্যস্ত।
অপরদিকে, পোষা কুকুর-বিড়াল থেকেও ছড়াতে পারে নতুন করোনা ভাইরাস, এমন গুজব ছড়িয়ে যাওয়ায় অনেকেই সংক্রমণের আশঙ্কায় নিজের পোষা প্রাণীদের মেরে ফেলেছেন। চীনে সড়কের বিভিন্ন স্থানে মৃত কুকুর-বিড়াল চোখে পড়েছে।
উহানের এক প্রাণী উদ্ধারকর্মী ও তার দল গত ২৫ জানুয়ারি থেকে এক হাজার প্রাণী উদ্ধার করেছেন। তাদের মধ্যে রয়েছে দু’টি পোষা বিড়াল। মালিক চলে যাওয়ায় পর্যাপ্ত খাবার ও পানি ছাড়া ১০ দিন বাড়িতে আটকে ছিল ওরা। ওদের খাওয়ানোর জন্য মালিকপক্ষ থেকেই ওই উদ্ধারকর্মীকে ফোন করা হয়।
শুধু উহান নয়, বেইজিং, তিয়ানজিন, শানদং, হেইলংজিয়াং, হেবেই, শানশি ও সাংহাইতে অনেক পোষা প্রাণী আটকে রয়েছে। স্বেচ্ছাসেবকের সংখ্যা কম হওয়ায় এবং ফেলে যাওয়া পোষা প্রাণীদের সঠিক সংখ্যা না জানায় অনেক প্রাণীর কাছে পৌঁছানো যাচ্ছে না।
চীনে নতুন করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ২৪ হাজার ছাড়িয়েছে এবং এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৪৯০ জনের। চীনের বাইরে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ফিলিপাইন ও হংকংয়ে একজন করে মারা গেছে।