গ্রাম ভিত্তিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে সরকার : প্রধানমন্ত্রী
বাসস) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সাধারণ জনগণের সুবিধার জন্য গ্রাম কেন্দ্রিক উন্নয়ন নিশ্চিত করাই তাঁর সরকারের প্রধান লক্ষ্য।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে গ্রাম কেন্দ্রিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা, যাতে দেশের সাধারণ জনগণ এর সুফল পেতে পারে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে গতকাল বিকেলে বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত ডেভরিম ওজতুর্ক বিদায়ী সাক্ষাতে এলে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।
বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
দেশের উন্নয়নে তাঁর সরকার গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশকে শক্ত ভিত্তি (অর্থনৈতিক) এনে দিয়েছি কেননা আমরা দারিদ্র্যের হার শতকরা ৪০ শতাংশ থেকে ২০ দশমিক ৫ শতাংশে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি।’
আমাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধি বেড়ে ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ এবং মাথাপিছু আয় এক হাজার ৯০৯ ডলারে উন্নীত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতা বিশেষ করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যদের প্রশিক্ষণ প্রদানে তুরস্কের ভূমিকার প্রশংসা করেন। রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশকে সমর্থন করার জন্যও তিনি তুরস্কের প্রতি ধন্যবাদ জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ সবসময় তুরস্কের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে মূল্য দেয় এবং তিনি তাঁর বেশ কয়েকটি তুরস্ক সফর এবং তুরস্কের প্রেসিডেন্টের সহধর্মীনির বাংলাদেশ সফরের কথাও স্মরণ করেন। প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, তুরস্কের নেতা মুস্তাফা কামাল আতাতুর্ক বাংলাদেশে খুবই জনপ্রিয়।
তুরস্কের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য শেখ হাসিনার ভুয়শী প্রশংসা করে বলেন, ‘এর পুরো কৃতিত্বই আপনার, এটি কেবল আপনার জন্যই সম্ভব হয়েছে।’
তিনি বলেন, তার দায়িত্ব পালনকালে তিনি প্রত্যক্ষ করেছেন বাংলাদেশ কতটা দ্রুত এই উন্নতি করেছে।
তুরস্কের রাষ্ট্রদূত দায়িত্ব পালনকালে সবরকমের সহযোগিতার জন্য বাংলাদেরশের প্রধানমন্ত্রী এবং সরকারের প্রতি তার কৃতজ্ঞতা জানান।
বাংলাদেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিশেষ করে দেশটির জ্বালানি খাতে বিনিয়োগের আকাঙ্খা ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের প্রযুক্তি এবং অভিজ্ঞতাকে বাংলাদেশের মতো বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের সংগে ভাগাভাগিতে প্রস্তুত, বিনিয়োগ আসছে বাংলাদেশে।’
ডেভরিম ওজতুর্ক বাংলাদেশে তুরস্কের দূতাবাসের জন্য জমি বরাদ্দ করায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান, যার নির্মাণ কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে এবং আগামী মাস নাগাদ উদ্বোধনের জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব সাজ্জাদুল হাসান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।