গ্রামীণফোন ও রবির ব্যান্ডউইথ কমিয়ে দিল বিটিআরসি
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
তাগাদা দেওয়ার পরও নিরীক্ষা আপত্তির ‘পাওনা’ টাকা পরিশোধ না করায় দেশের শীর্ষ দুই মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোন ও রবির ব্যান্ডইউথ কমিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে টেলিযোগাযোগ খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি।
ইন্টারনেট গেইটেওয়ে (আইআইজি) প্রতিষ্ঠানগুলোকে এই নির্দেশনা দেওয়ার ফলে গ্রামীণফোনের জন্য বরাদ্দ ব্যান্ডইউথ ক্যাপাসিটি ৩০ শতাংশ এবং রবির ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ সীমিত হবে বলে বিটিআরসির একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
বিটিআরসির এই সিদ্ধান্তকে ‘নজিরবিহীন’ হিসেবে বর্ণনা করে মোবাইল ফোন অপারেটর রবি বলেছে, ব্যান্ডইউথ সীমিত করা হলে তাতে সাধারণ গ্রাহকই সমস্যার মুখে পড়বে। একই ধরনের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে আরেক অপারেটর গ্রামীণফোন বিটিআরসির সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে। গ্রামীণফোন ও রবির ব্যান্ডইউথ সীমিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট আইআইজিগুলোকে বৃহস্পতিবার আলাদা দুটো নোটিস পাঠায় বিটিআরসির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশনস বিভাগ।
গ্রামীণফোনের বিষয়ে পাঁচটি আইআইজি প্রতিষ্ঠানকে পাঠানো নোটিসে বলা হয়, তাগাদা দেওয়া সত্বেও নিরীক্ষা আপত্তির দাবির ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা পরিশোধ না করায় ব্যন্ডইউথ ক্যাপাসিটি আইআইজি প্রান্তে সীমিত করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হল।
একইভাবে রবির বিষয়ে পাঁচটি আইআইজি প্রতিষ্ঠানকে পাঠানো নোটিসে বলা হয়, নিরীক্ষা আপত্তির দাবির ৮৬৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা পরিশোধ না করায় ব্যন্ডইউথ ক্যাপাসিটি কমানোর এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এ দুই অপারেটরকে নতুন করে ব্যান্ডইউডথ বরাদ্দ বা বাড়ানো থেকে বিরত থাকতে সংশ্লিষ্ট আইআইজিগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে চিঠিতে। বিটিআরসির একজন কর্মকর্তা বলেন, ব্যন্ডইউডথ ক্যাপাসিটি সীমিত করায় কলড্রপ বাড়তে পারে। পাশাপাশি গ্রাহকের ইন্টারনেটের গতি কমতে পারে।