গ্রামীণফোনের গ্রাহকের অর্ধেকই ইন্টারনেট ব্যবহারকারী
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোন ২০১৮ সালে সবমিলিয়ে ১৩ হাজার ২৮০ কোটি টাকা আয় করেছে। আয়ের এই অংক ২০১৭ সালের চেয়ে ৩ দশমিক ৪ শতাংশ বেশি। গত বছরে প্রতিষ্ঠানটির ইন্টারনেট থেকে আয় বেড়েছে বেড়েছে ২১ শতাংশ। ভয়েস থেকে বেড়েছে ৬ দশমিক ৬ শতাংশ। চতুর্থ প্রান্তিকে অর্থাৎ অক্টোবর-ডিসেম্বরে আয় বেড়েছে ৭ দশমিক ৭ শতাংশ।
সোমবার গ্রামীণফোন ২০১৮ সালের যে আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তাতে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৮ সালে ৭৪ লাখ নতুন গ্রাহক যোগ হয়েছে গ্রামীণফোনে।প্রবৃদ্ধির হার ১১ দশমিক ৩ শতাংশ। গতবছর গ্রামীণফোনে যুক্ত হয়েছে ৫৯ লাখ নতুন ইন্টারনেট গ্রাহক যুক্ত হয়েছে এই মোবাইল ফোন অপারেটরে। এর মধ্য দিয়ে গ্রামীণফোন নেটওয়ার্কে মোট ইন্টারনেট ব্যবহারকারী দাড়িয়েছে মোট গ্রাহকের ৫১ শতাংশ ।
গ্রামীণফোনের সিইও মাইকেল প্যাট্রিক ফোলি বলেন, ২০১৮ বাজারে খুবই প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশে ছিল। কিন্ত আমাদের পরিকল্পনার সঠিক বাস্তবায়ন একটি শক্তিশালী ব্যবসায়িক ফলাফল এনে দিয়েছে। ফেব্র“য়ারিতে আমরা ৪জি চালু করেছিলাম এবং কঠিন প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার নানা নির্দেশাবলীর কারণে এবছর নানাবিধ চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছে। তারপরও আমাদের ভয়েস ও ডাটা খাতে প্রবৃদ্ধি সন্তোষজনক ছিলো।
গ্রামীণফোনের সিএফও কার্ল এরিক ব্রোতেন বলেন, গ্রামীণফোন দক্ষতা এবং শক্তিশালী মুনাফা প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে আরেকটি বছর সম্পন্ন করেছে। এটা সম্ভব হয়েছে গ্রাহক এবং তাদের সেবা ব্যবহার বৃদ্ধির ফলে। ২০১৮ সালে আমরা সেবার মূল্য নির্ধারণ বিশেষ করে ইন্টারনেটের মূল্য ও ভয়েস ট্যারিফ নির্ধারণে বেশ প্রতিযোগিতা সন্মুখীন হয়েছিলাম।
এই বাজারের প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা, দক্ষতা বৃদ্ধি ও সহজীকরণ উদ্যোগে বিশেষ মনোযোগ দেয়ায় কোম্পানি আগামীতেও লাভজনক প্রবৃদ্ধি এনে দিতে পারবে বলে আমরা আশাবাদী। আমি আনন্দের সাথে জানাচ্ছি যে, সম্মানিত শেয়ারহোল্ডারদের জন্য বোর্ড অফ ডিরেক্টররা শেয়ার প্রতি ২৮ টাকা চূড়ান্ত লভ্যাংশ সুপারিশ করেছেন।
সোমবার গ্রামীণফোনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রোববার বোর্ড সভায় ২০১৮ সালে গ্রামীণফোনের প্রতি শেয়ারের বিপরীতে ২৮ টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়। এর ফলে ২০১৮ সালের মোট নগদ লভ্যাংশের পরিমান দাঁড়ালো পরিশোধিত মূলধনের ১৫৫ শতাংশ।
যা ২০১৮ সালের কর পরবর্তী মুনাফার ১০৮ শতাংশ (এর মধ্যে ১২৫ শতাংশ অন্তবর্তী নগদ লভ্যাংশ)।রেকর্ড তারিখ ১৭ ফেব্র“য়ারি। ২৩ এপ্রিল হবে ২২তম বার্ষিক সাধারণ সভা-এজিএম। গ্রামীণফোনের সিইও মাইকেল প্যাট্রিক ফোলি বলেন, ২০১৯ সালে বাস্তবায়ন হতে পারে এমন বেশ কিছু নীতি নির্ধারন বিষয় এখন আলোচনাধীন। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আসন্ন এসএমপি (সিগনিফিকেন্ট মার্কেট পাওয়ার) এবং টাওয়ার শেয়ারিং লাইসেন্সিং এবং সেবার মান সংক্রান্ত বিধিমালা।
আমরা মোবাইল শিল্পের সেবাকে আরো উন্নত করতে সরকার ও এই খাতের মধ্যে অর্থপূর্ণ আলোচনার বিষয়ে আমাদের প্রতিশ্র“তির কথা আবারো উলেখ করছি। যা বর্তমান অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতিকে অব্যাহত রাখতে সহায়তা করবে।