September 8, 2024
জাতীয়

গ্রামবাসীকেও করের সুফল বোঝাতে হবে : স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক

গ্রামগুলোতে শহরের সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার পাশাপাশি গ্রামের মানুষকে কর দেওয়া সুফল বোঝানোর উপর জোর দিচ্ছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে গ্রামে শহরের সুবিধা নিশ্চিতের কথা রয়েছে। এজন্য ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ শীর্ষক একটি কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে সরকার।

বুধবার তা নিয়ে এক কর্মশালায় স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল বলেন, ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য স্থানীয় সরকার অর্থাৎ ইউনিয়ন পরিষদকেই বেশি ভূমিকা রাখতে হবে। জনগণকে বোঝাতে হবে কেউ বিচ্ছিন্নভাবে একটা বাড়ি করলে সেখানে গিয়ে নাগরিক সেবা দেওয়া সম্ভব নয়। তাই ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা চেয়ারম্যান মিলে জনগণকে এ বিষয়ে বোঝাতে হবে।

এবং কর আদায় করতে হবে। জনগণের মধ্যে কর দেওয়ার অভ্যাস তৈরি করতে হবে। তাদের বোঝাতে হবে, কেন তাদের কর দিতে হবে। ২০০ টাকা কর দিলে ২০ হাজার টাকার বেশি সুবিধা তিনি পাবেন, এ বিষয়টি তাকে বোঝাতে হবে।

এভাবে গ্রামকে নিয়ে সরকারের সমন্বিত উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রতিষ্ঠানগুলোর দায়িত্ব পালনের উপর জোর দেন তিনি। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এই কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তাজুল। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য।

তাজুল বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজ নৈতিক স্বপ্ন ছিল এদেশের গরিব মানুষের উন্নয়ন। তার রাজ নৈতিক দর্শনকে বাস্তবে রূপ দিতেই বর্তমান সরকার ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ ইশতেহার গত নির্বাচনের ইশতেহার হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

এই কর্মসূচির মাধ্যমে প্রত্যেকটি গ্রামে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ব্যবস্থা, অর্থ নৈতিক ও আইনশৃঙ্খলার উন্নয়ন করা হবে। স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের হাতে যত ক্ষমতা রয়েছে, তার চর্চা হচ্ছে না বলে মনে করেন মন্ত্রী। কেন পারেন না, তা নিয়ে গবেষণা করতে হবে।

তবে স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিদের জনগণ বিশ্বাস করে না বলে মন্তব্য করেন সংসদ সদস্য তাজুল। তিনি বলেন, জনগণের এই মূল্যায়নের কারণে একজন শিক্ষিত মানুষও স্থানীয় সরকারে যেতে চান না।

মন্ত্রী মনে করেন, এই অবস্থা বদলাতে জনগণকে যেমন স্থানীয় প্রতিনিধিদের সমালোচনার অভ্যাস বদলাতে হবে, তেমনি জনপ্রতিনিধিদের গুণসম্পন্ন হতে হবে।

স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী স্বপন বলেন, আমার গ্রাম আমার শহর কর্মসূচির মূল লক্ষ্য হচ্ছে শহর এবং গ্রামের মধ্যে ব্যবধান কমানো। অর্থ নৈতিক মুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশকে বিশ্বে মাথা উচুঁ করে তুলে ধরার উদ্দেশ্যেই এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, এই কর্মসূচি কিভাবে বাস্তবায়ন করলে সবচেয়ে ভাল ফলাফল পাওয়া যাবে, তা জানার জন্য কুমিল­ার পল­ী উন্নয়ন একাডেমি এবং বগুড়ার আরডিএতে গবেষণা হচ্ছে। ওই গবেষণাপত্র দিয়েই কর্ম পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।

অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ আগামী চার বছরের মধ্যে ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ কর্মসূচি বাস্তবায়নের উপর গুরুত্বরোপ করেন।

 

 

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *