গ্যাটকো পরিচালক শাহজাহানকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানা
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
গ্লোবাল এগ্রোট্রেড প্রাইভেট লিমিটেডের (গ্যাটকো) দুর্নীতি মামলার অভিযোগ গঠন শুনানিতে উপস্থিত না হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির তৎকালীন পরিচালক শাহজাহান এম হাসিবের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক সৈয়দ দিলজার হোসেন এই পরোয়ানা জারি করেন।
অসুস্থজনিত কারণে শাহজাহান এম হাসিব আদালতে শুনানি উপস্থিত হতে না পারায় তার আইনজীবী সময় আবেদন করেছিলেন। বিচারক সময় আবেদন নামঞ্জুর করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে এক মাস চিকিৎসা শেষে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বৃহস্পতিবার নাজিমুদ্দিন রোডের পুরানো কেন্দ্রীয় কারাগারে ফিরিয়ে নেওয়া হয়। এদিন রাষ্ট্রপক্ষে মোশাররফ হোসেন কাজলের বক্তব্যের শেষ হয়। আসামিপক্ষের শুনানি নিতে আগামী ২৭ ফেব্র“য়ারি পরবর্তী দিন রেখেছে আদালত।
মামলার আসামি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এদিন শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন। দুদকের উপ-পরিচালক মো. গোলাম শাহরিয়ার ২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর তেজগাঁও থানায় এ মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ১৩ মে আদালতে অভিযোগপত্র দেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. জহিরুল হুদা। চার দলীয় জোট সরকারের নয় মন্ত্রী ও উপমন্ত্রীসহ মোট ২৪ জনকে সেখানে আসামি করা হয়।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গ্যাটকোকে ঢাকার কমলাপুর আইসিডি ও চট্টগ্রাম বন্দরের কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের কাজ পাইয়ে দিয়ে রাষ্ট্রের ১৪ কোটি ৫৬ লাখ ৩৭ হাজার ৬১৬ টাকার ক্ষতি করেছেন।
আসামিদের মধ্যে সাবেক মন্ত্রী এম সাইফুর রহমান, এম শামছুল ইসলাম, এমকে আনোয়ার, আকবর হোসেন, আব্দুল মান্নান ভুইয়া এবং খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রাহমান কোকো মারা গেছেন। আর একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের দায়ে জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।
মামলার অপর আসামিরা হলেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান কমোডর জুলফিকার আলী, আকবর হোসেনর স্ত্রী জাহানারা আকবর, দুই ছেলে ইসমাইল হোসেন সায়মন এবং একেএম মুসা কাজল, এহসান ইউসুফ, প্রাক্তন নৌ সচিব জুলফিকার হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রাক্তন সদস্য একে রশিদ উদ্দিন আহমেদ, গ্লোবাল এগ্রোট্রেড প্রাইভেট লি. (গ্যাটকো) এর পরিচালক শাহজাহান এম হাসিব, প্রাক্তন মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও প্রাক্তন জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী একেএম মোশাররফ হোসেন।