January 21, 2025
জাতীয়

গোপালগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনশনে ১৩ শিক্ষার্থী হাসপাতালে

দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক

গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্রিপল-ই বিভাগের সঙ্গে একীভূত করার দাবিতে ইটিই বিভাগের আমরণ অনশনরত ১৩ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। গতকাল বুধবার অনশন চলা অবস্থায় অসুস্থ হওয়া দুইজনসহ এই ১৩ শিক্ষার্থীকে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এদিকে, বিষয়টির একটি সমাধান বের করতে কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬ শিক্ষককে নিয়ে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছে। আগামী ২৫ জানুয়ারি এই কমিটির সভায় আহŸান করা হয়েছে।

এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের সঙ্গে একীভূতকরণের দাবিতে ইলেক্ট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইটিই) বিভাগের শিক্ষার্থীরা গত ১৯ জানুয়ারি থেকে আমরণ অনশন করছেন।

অসুস্থ শিক্ষার্থীদের মধ্যে মঙ্গলবার পর্যন্ত অসুস্থ হওয়া ১১ জন হলেন তৃতীয় বর্ষের সাকিবুল হাসান শান্ত, আকাশ বিশ্বাস, চতুর্থ বর্ষের নাফিসা খানম, মো. শিহাব শাহরিয়ার, হান্নান মিয়া, নাসিম, দ্বিতীয় বর্ষের মো. তানিম মিয়া, তুষার, বিপ্রনাথ, আজিজুল হাকিম সবুজ ও আব্দুর রহিম। এছাড়া বুধবার অসুস্থ হওয়া দুইজনের নাম জানা যায়নি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার নূরউদ্দিন আহমেদ জানান, এই সমস্যা সমাধানে একটি উপায় খুঁজে বের করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ও বিভাগটির সভাপতি মো. শাহজাহান নিজ স্বাক্ষরে মঙ্গলবার একটি কমিটি করেছেন। এই কমিটির ১৬ সদস্যকে আগামী ২৫ জানুয়ারি সভায় অংশগ্রহণের অনুরোধ জানান।

এই বিশেষজ্ঞ কমিটিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সভাপতি এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইইই ও ইটিই বিভাগের সভাপতিদের রাখা হয়।

এ কমিটির সভায় এ সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা করা হচ্ছে, বলেন রেজিস্ট্রার। ৯০ দিন অবস্থান কর্মসূচি পালন করার পর কোনো সমাধান না পেয়ে গত ১৯ জানুয়ারি থেকে ইটিই বিভাগের শিক্ষার্থীরা আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেন।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *