গোপালগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ শিক্ষার্থীকে শোকজ
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
যৌন হয়রানীর বিরুদ্ধে আন্দোলনে থাকা গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের পাঁচ শিক্ষার্থীকে কারণ দর্শাতে বলেছে কর্তৃপক্ষ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর মো. নূর উদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ কথা জানানো হয়।
গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর খোন্দকার নাসিরউদ্দিন জানান, ফেসবুকে বিভিন্ন ধরনের স্ট্যাটাস দেওয়ার জন্য ওই পাঁচ শিক্ষার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হয়েছে। এ পাঁচ শিক্ষার্থী হলেন- মেহেদী হাসান, বিষ্ণু চন্দ্র সরকার, মো. মেজবাউল হাসান, মো. রাশেদুজ্জামান সিকদার ও সুকান্ত কুমার ঘোষ।
কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আক্কাস আলীর বিরুদ্ধে দুই ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ তদন্ত চলাকালে ফেসবুকে দঅশালীন পোস্ট’ দেওয়ার ওই পাঁচ ছাত্রকে কারণ দর্শানোর কথা বলা হয় নোটিসে।
এ ঘটনায় কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে তা জানানোর জন্য নোটিসে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সিএসই বিভাগের দুই ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের ঘটনায় গত ৭ এপ্রিল থেকে শিক্ষার্থীরা ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করে ওই শিক্ষকের স্থায়ী অপসারণের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। আন্দোলনের মুখে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। ওই কমিটি ১৮ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বোর্ডের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় শৃঙ্খলা বোর্ড শিক্ষক মো. আক্কাস আলীকে আজীবনের জন্য বিভাগীয় প্রধানের পদ থেকে বহিষ্কার করে। পাশাপাশি জানুয়ারি-জুন ২০১৯ থেকে জুলাই-ডিসেম্বর ২০২২ পর্যন্ত ৮ সেমিস্টারের জন্য একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে ওই শিক্ষককে অব্যাহতি দেয় শৃঙ্খলা বোর্ড।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. নূরউদ্দিন আহমেদ বলেন, আন্দোলন চলাকালে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয় ওই পাঁচ শিক্ষার্থী। এ ব্যাপারে পাঁচ শিক্ষার্থীকে কারণ দর্শানোর জন্য শৃঙ্খলা বোর্ড আমাকে চিঠি দেয়। এ প্রেক্ষিতে আমি একটি কারণ দর্শানোর নোটিস দিয়েছি।