গোপালগঞ্জে বাসের সঙ্গে নছিমনের সংঘর্ষে পাঁচ নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে বাসের সঙ্গে নছিমনের সংঘর্ষে পাঁচ নির্মাণ শ্রমিক নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে কাশিয়ানী উপজেলার পোনা নামে স্থানে এ সড়ক দুর্ঘটনাটি ঘটে বলে স্থানীয় চিকিৎসা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও সাতজন। হতাহতরা সবাই নছিমনের যাত্রী ছিলেন।
নিহতদের মধ্যে চারজনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- কাশিয়ানী উপজেলার তিতা গ্রামের রাফিক মোল্লার ছেলে বদির মোল্লা (২৪), একই গ্রামের বেলায়েত মুন্সির ছেলে সুমন মুন্সি (২০), বজলু ফকিরের ছেলে মিজান ফকির (৪০), আবি মোল্লার ছেলে সিরাজুল ইসলাম মোল্লা (৩০)।
কাশিয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. ইকবাল খান জানান, পোনায় ফিডার সড়ক থেকে একটি নছিমন মহাসড়কে ওঠার সময় ফালগুনী পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে এর সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই একজন মারা যান। কাশিয়ানী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার পথে আরও দুজনের মৃত্যু ঘটে। আহত নয়জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ এবং গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। গোপালগঞ্জে নেওয়ার পথে সিরাজুলের মৃত্যু হয় বলে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. অসিত কুমার মল্লিক জানিয়েছেন।
এছাড়া ফরিদপুরে নেওয়ার পর অন্য একজনকে মৃত ঘোষণা করা হয় বলে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক অঞ্জন কুমার সাহা জানিয়েছেন। তবে নিহতের নাম জানাতে পারেননি তিনি। এই শ্রমিকরা কাশিয়ানী উপজেলার পারুলিয়া ইউনিয়নের চিতা গ্রাম থেকে নছিমনে করে ভবন নির্মাণ কাজ করতে কাশিয়ানীর ভাটিয়াপাড়া গ্রামে যাচ্ছিলেন বলে জানান স্থানীয়রা।
ঘোনাপাড়া হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই নিজামুল আলম জানান, শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে কাশিয়ানীর পোনা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পাশ্ববর্তী সংযোগ রাস্ত থেকে একটি যাত্রীবাহী নছিমন মহাসড়কে উঠছিল। এসময় থেকে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী ‘ফাল্গুনী পরিবহনের’ একটি বাসের সাথে সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই এক নছিমন যাত্রী নিহত হয়।
কাশিয়ানী হাসপাতালে নেয়ার পথে আরও দুই নছিমন যাত্রী মারা যান। আহত আরও সাত যাত্রীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আশংকাজনক অবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ ও গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ভাংগা হাইওয়ে থানার ওসি আতাউর রহমান জানান, চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরে ফরিদপুরে একজন ও গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে একজন মারা যান। নছিমনের যাত্রীরা কাশিয়ানী উপজেলার পারুলিয়া ইউনিয়নের তিতাগ্রাম থেকে নছিমনে করে ভবন নির্মাণ কাজ করতে কাশিয়ানী উপজেলার ভাটিয়াপাড়া যাচ্ছিলেন বলে জানান ওই কর্মকর্তা।