November 23, 2024
Uncategorizedখেলাধুলা

গেইল-ডি ভিলিয়ার্স নয়, আইপিএলে সবচেয়ে বিধ্বংসী রাসেল

আর মাত্র তিনদিন পরই শুরু হবে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) ক্রিকেটের ১৩তম আসর। মাঠের জমজমাট ক্রিকেট ও মাঠের বাইরের গ্ল্যামার মিলে নিঃসন্দেহে ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টগুলোর মধ্যে আইপিএলই সবার সেরা।

এবারের আসরকে সামনে রেখে টুর্নামেন্টের ইতিহাসের সবচেয়ে বিধ্বংসী, কার্যকরী এবং দলের জয়ে প্রভাব বিবেচনায় সবচেয়ে দামী খেলোয়াড়দের এক তালিকা করেছে ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো। যেখানে প্রত্যাশিতভাবেই রয়েছে ক্রিস গেইল, এবি ডি ভিলিয়ার্স, ডেভিড ওয়ার্নারদের নাম।

তবে তারা কেউই আইপিএলের সবচেয়ে বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান নন। ক্রিকইনফোর ‘স্মার্ট স্ট্যাট’ প্রযুক্তির হিসেবে কমপক্ষে ৬০ ম্যাচ খেলা ব্যাটসম্যানদের মধ্যে আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেল। গেইল, ডি ভিলিয়ার্স কিংবা ওয়ার্নারদের চেয়ে অনেক এগিয়ে রয়েছেন তিনি।

আইপিএল ক্যারিয়ারে এখনও পর্যন্ত ৬৪ ম্যাচ খেলে ৩৩.৩৩ গড় ও ১৮৬.৪১ স্ট্রাইকরেটে ১৪০০ রান করেছেন রাসেল। আইপিএলের শীর্ষ ৫০ রান সংগ্রাহকের মধ্যে আর কারও স্ট্রাইকরেটই ১৬৫’র বেশি নয়। সেখানে রাসেল রান করেছেন ১৮৬ স্ট্রাইকরেটে।

এছাড়া এখনও পর্যন্ত আইপিএলে ৯৬ চারের পাশাপাশি রাসেলের ছক্কার সংখ্যা ১২০টি। এক্ষেত্রেও অনন্য রাসেল। আইপিএলের শীর্ষ ৫০ রান সংগ্রাহকের মধ্যে কোনো ব্যাটসম্যানেরই চারের চেয়ে ছয়ের সংখ্যা বেশি নয়। কাছাকাছি রয়েছেন কাইরন পোলার্ড, ১৮১ চারের বিপরীতে ছক্কা হাঁকিয়েছেন ১৭৬টি।

তবে শুধু চার-ছক্কা কিংবা স্ট্রাইকরেটের বিচারে নয়, বরং ম্যাচে প্রভাবের কারণে সবচেয়ে কার্যকরী এবং দামি খেলোয়াড়ের খেতাব পেয়েছেন রাসেল। কেননা অন্য যেকোনো খেলোয়াড়ের চেয়ে দলের জয়ের ক্ষেত্রে বেশি ভূমিকা রেখেছেন তিনি।

আইপিএলে রাসেলের সেরা পাঁচ পারফরম্যান্স হলো ২০১৮ সালে চেন্নাইয়ের বিপক্ষে ৩৬ বলে অপরাজিত ৮৮, বল হাতে ৪-০-৩৫-০; ২০১৯ সালে পাঞ্জাবের বিপক্ষে ১৭ বলে ৪৮, বল হাতে ৩-০-২১-২; ২০১৯ সালে মুম্বাইয়ের বিপক্ষে ৪০ বলে অপরাজিত ৮০, বল হাতে ৪-০-২৫-২; ২০১৮ সালে পাঞ্জাবের বিপক্ষে ১৪ বলে ৩১, বল হাতে ৪-০-৩১-৩; ২০১৫ সালে পাঞ্জাবের বিপক্ষে ৩৬ বলে ৬৬, বল হাতে ৪-০-৩৯-২।

ক্রিকইনফোর স্মার্ট স্ট্যাট মোতাবেক নিজের ৬৪ ম্যাচের আইপিএল ক্যারিয়ারে ১৭ বার মোস্ট ভ্যালুয়েবল প্লেয়ার (এমভিপি) ছিলেন রাসেল। ম্যাচপ্রতি হিসেবে এটি দাঁড়ায় প্রতি ৩.৭৬ ম্যাচে একবার করে এমভিপি হয়েছেন তিনি। এ তালিকায় তার পেছনে রয়েছেন বাকিরা।

এমভিপির তালিকায় পরের নামগুলো হলো ক্রিস গেইল (প্রতি ৫.০৮ ম্যাচে একবার), শেন ওয়াটসন (প্রতি ৫.৭৮ ম্যাচে একবার), সুনিল নারিন (প্রতি ৭.৮৬ ম্যাচে একবার), এবি ডি ভিলিয়ার্স (প্রতি ৮.৮৮ ম্যাচে একবার) ও ডেভিড ওয়ার্নার (প্রতি ৮.৯৩ ম্যাচে একবার)।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *