গুম-খুনের বিষয়ে জানতে চাইলেন মিশেল ব্যাসলেত
বাংলাদেশে গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ইত্যাদি বিষয়ে জানতে চেয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাসলেত। রোববার ( ১৪ আগস্ট) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গে পৃথক বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা করেন তিনি।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ড. মোমেন বলেন, বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে গুম করার অভিযোগ আছে। তবে যারা গুম হয়েছেন, তাদের পরিবার ভয়ে তথ্য দেয় না। আমরা তাদের সম্পর্কে জানতে চাই।
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে ড. মোমেন জানান, তারা মনে করেন বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নেই এবং সরকার সেন্সরশিপ আরোপ করে। তবে আমি এমন কিছু দেখছি না, বাংলাদেশের গণমাধ্যম খুবই শক্তিশালী।
তারা মনে করে বাংলাদেশের গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রিত হয়। সে জন্য আমি ব্যাসলেতকে বলেছি দেশে প্রতিদিন ২৮০০ সংবাদপত্র প্রকাশিত হয়। তারা মনে করে যে আমাদের সুশীল সমাজ নেই। আমি বললাম, এখানে একটি শক্তিশালী সুশীল সমাজ আছে। বাংলাদেশে কয়েক হাজার এনজিও কাজ করছে।
বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড নিয়ে ড. মোমেন বলেন, ২০০৮ সাল থেকে এরকম হত্যাকাণ্ডের কোনো খবর নেই। তবে ২০০৩, ২০০৪ ও ২০০৫ সালে এমন হত্যাকাণ্ড ঘটত। এ ধরনের ঘটনা থাকলে সরকার তদন্ত করবে।
এদিকে বৈঠক শেষে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের জানান, মিশেল ব্যাসলেতের সঙ্গে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, মানবাধিকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রশিক্ষণের বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
উল্লেখ্য, জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাসলেত রোববার (১৪ আগস্ট) চার দিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন। সংস্থার প্রধান হিসেবে এটিই তার প্রথম বাংলাদেশ সফর।