‘গুপ্তধন’ নিয়ে রাজশাহীতে রহস্য!
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় নির্মাণাধীন একটি বাড়ি থেকে ‘গুপ্তধন’ উদ্ধার নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। পাঁচতলা ওই ভবনের টয়লেটের সেপটিক ট্যাংকের জন্য মাটি খননের কাজ করতে গিয়ে ওই ‘গুপ্তধন’ পান পাঁচ শ্রমিক। এরপর থেকে শ্রমিকরা নিরুদ্দেশ। তাদের খুঁজছে পুলিশ।
নিখোঁজ শ্রমিকরা হলেন- উপজেলার চাঁনপাড়া গ্রামের ইবর উদ্দিনের ছেলে আলতাফ হোসেন (৩২), একই এলাকার ওসমান (৩৫) ও দেউলিয়া গ্রামের রহিম উদ্দিন (৪৫)। অন্য দু’জনের নাম জানা যায়নি।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, স¤প্রতি উপজেলার ভবানীগঞ্জের চাঁনপাড়া গ্রামের ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন তার পুরনো বাড়ি ভেঙে সেখানে পাঁচতলা ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেন। গত মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রæয়ারি) নির্মাণাধীন ভবন সংলগ্ন স্থানে টয়লেটের সেপটিক ট্যাংক তৈরির জন্য মাটি খনন কাজ শুরু করা হয়। বিকেলে খননের শেষ পর্যায়ে শ্রমিকরা সেখানে একটি বিশাল আকৃতির মাটির কলসের খোঁজ পান। কলসটির চারপাশ ইট দিয়ে ঘেরা ছিল। কলস পাওয়ার পর শ্রমিকরা বেশ কৌতুহলী হয়ে ওঠেন। বিষয়টি বাড়ির মালিক আলমগীর টের পাওয়ার পর তিনি পুলিশকে অবহিত করেন। তার আগেই শ্রমিকরা পালিয়ে যান।
ওইদিন সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান বাগমারা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাসান আলী। তিনি ফোনে শ্রমিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। এসআই হাসান আলী বলেন, শ্রমিকরা অত্যন্ত ধূর্ত। তারা বারবার নিজেদের অবস্থান পরিবর্তন করছেন। আমরা তাদের অবস্থান জানার ও আটকের চেষ্টা করছি।
এদিকে বাড়ির মালিক আলমগীর হোসেন জানান, শ্রমিকদের সঙ্গে তার পাঁচতলা ভবন নির্মাণের চুক্তি হয়েছে। প্রায় মাসখানেক ধরে তারা কাজ করছেন। ওইদিন খনন করতে গিয়ে একটি মাটির কলস পাওয়া যায়। পরে শ্রমিকরা বাড়ির লোকজনের দৃষ্টি এড়িয়ে কৌশলে কলসটি নিয়ে আত্মগোপন করেন। বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে বাগমারা থানায় অবহিত করা হয়েছে।
বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান জানান, নির্মাণশ্রমিকদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। তাদের পাওয়া গেলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। এর আগে এ বিষয়টি নিয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলা যাচ্ছে না।