গাড়ি-বাড়িসহ আরো সুযোগ-সুবিধা চাইলো ইসি
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষে নিজের পদোন্নতি, গাড়ি, বাড়ি, নিরাপত্তাসহ আরো সুযোগ-সুবিধা চাইলো নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গতকাল রোববার দুপুরে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে নির্বাচন ভবনে বৈঠক করে এমন সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর আবেদন জানায় তারা।
আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য ও প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের নেতৃত্বে ওই প্রতিনিধি দলে দলটির নেতা ড. মশিউর রহমান, ড. হাছান মাহমুদ, মো. আকতার“জ্জামান, একিএম রিয়াজুল কবীর কাওসার, ফজিলাতুন্নেছা বাপ্পী, ড. সেলিম মাহমুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে এইচ টি ইমাম নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ভবিষ্যতে নির্বাচন কমিশন ও তাদের প্রাতিষ্ঠানিকভাবে আরো সক্রিয় ও সুন্দর করার জন্য তারা কিছু প্রস্তাব রেখেছে। আমরা সেগুলো সরকারের কাছে পেশ করবো।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন মোটামুটিভাবে সবগুলোই প্রশাসনিক কাঠামোগত প্রভাব দিয়েছে। যেমন- পদোন্নতির কিছু ব্যাপার আছে, নির্বাচন কর্মকর্তারা যারা তাদের আরো উঁচু স্থান দেওয়া, আরো সুন্দরভাবে দায়িত্ব বন্টন করা, তাদের চলাচলের জন্য গাড়ি ইত্যাদি। তারপরে প্রাধিকার, সরকারের যেমন হয়, যেভাবে প্রাতিষ্ঠানিক এবং নির্বাচন কমিশনের জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার থেকে সব নির্বাচন কমিশনারদের নিরাপত্তা থেকে শুরু করে তাদের জন্য বাড়ি-ঘর দেওয়া, জাজরা (বিচারকরা) যা পেয়ে থাকেন, এগুলো নিয়ে কথা হয়েছে।’
আপনাদের কোনো প্রস্তাব ছিলো না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে এইচ টি ইমাম বলেন, আমার মনে হয় করা উচিত, সরকারের সামর্থ্যের মধ্যে যতোটুকু আছে। তাছাড়া নির্বাচন কমিশনের নিজের বাজেট আছে। আমি প্রস্তাব দেবো, তাদের বাজেটের মধ্যে যদি এগুলো নিজেরা করে নেয়, তাহলে জাতীয় বাজেটে আমরা সমর্থন দিলেই কমিশন এমনিই পেয়ে যাবে। খুঁটিনাটি পরে বলবো। আমার মনে হয়, এগুলো করা সম্ভব।
গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদের ২৯৯ আসনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। গাইবান্ধা-৩ আসনের একজন প্রার্থী মৃত্যুবরণ করায় সে আসনে ভোটগ্রহণ হবে ২৭ জানুয়ারি। আর ব্রাহ্মবাড়িয়া-২ আসনের তিনটি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত হওয়ায় সেখানে ৯ জানুয়ারি পুনঃভোটের পর আসনটির ফল প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন।
অবশিষ্ট ২৯৮ আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ২৫৭টি আসন, জাতীয় পার্টি ২২টি আসন, বিকল্পধারা বাংলাদেশ দু’টি আসন, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি তিনটি আসন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ দু’টি আসন, জাতীয় পার্টি-জেপি একটি আসন ও বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন একটি আসন পেয়েছে। বিএনপি পাঁচটি আসন, গণফোরাম দু’টি আসন পেয়েছেন। আর স্বতন্ত্র থেকে তিন জন প্রার্থী জয়লাভ করেছেন।