গাজীপুরে স্বামীর দেওয়া আগুনে পোশাককর্মীর মৃত্যু
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
গাজীপুরে এক পোশাককর্মীকে পেট্রোলের আগুনে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় তার স্বামীও আহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিউলী আক্তারের (৩২) মৃত্যু হয়। শিউলির স্বামী দগ্ধ সহিদ হাওলাদারকে (৩৯) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শিউলি আক্তার ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার ডাকাতিয়া গ্রামের শুক্কুর আলীর মেয়ে এবং বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার মোতালেব হাওলাদারের ছেলে সহিদ হাওলাদারের স্ত্রী। শিউলি স্বামীর সঙ্গে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মুলাইদ গ্রামে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। শিউলি ‘বিবিএল’ নামে স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। তার স্বামী হলেন গাড়ি চালক।
শ্রীপুর থানার এসআই আব্দুল মালেক বলেন, নয় বছর আগে প্রেম করে তাদের বিয়ে হয়। এটি ছিল সহিদ ও শিউলী উভয়েরই দ্বিতীয় বিয়ে। বেশ কিছুদিন ধরে তারা মুলাইদ এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে থাকছিলেন।
প্রতিবেশীদের বরাত দিয়ে এসআই মালেক বলেন, পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রায় সময় তাদের মধ্যে ঝগড়া হতো। স্বামী তাকে মারধরও করত। সোমবার রাতে কারখানা থেকে পাওয়া বেতন স্বামী কেড়ে নিতে চাইলে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। মধ্যরাতে শিউলির গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন দেয় সহিদ।
এসআই মালেক আরও বলেন, এরপর স্বামী পালাতে গেলে শিউলী তাকে ঝপটে ধরে মেঝেতে পড়ে যান এবং এতে স্বামীর শরীরেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে এবং স্বামীর দুই হাত দ্বগ্ধ হয়। এ সময় শিউলীর ডাক চিৎকার শুনে বাড়ির লোকজন ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
শিউলীর স্বামী সহিদ পুলিশ পাহারায় ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাহিদ স্ত্রীর শরীরে আগুন দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন বলে জানান এসআই মালেক। তাদের ভাড়া বাড়ির মালিক মাফিয়া আক্তার বলেন, সোমবার মধ্যরাতে আমরা শিউলির ঘর থেকে কান্নার শব্দ শুনে গিয়ে দেখি তাদের রুমের দরজা ভেতর থেকে আটকানো। পরে দরজা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে দেখি শিউলি ও তার স্বামীর গায়ে আগুন। পরে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয় বলে তিনি জানান।