November 27, 2024
জাতীয়লেটেস্ট

গাজীপুরে প্রায় দেড়শ’ বছরের পুরোনো মুদ্রা উদ্ধার

দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
গাজীপুর সদর উপজেলার বাড়িয়া ইউনিয়নের দ্বিগ্ধা গ্রামের একটি বাড়ির মাটি খুঁড়ে বেরিয়ে এসেছে প্রায় দেড়শ বছর আগের পুরোনো বেশকিছু রৌপ্য মুদ্রা। খবর পেয়ে শনিবার মুদ্রাগুলো উদ্ধার করে থানায় হস্তান্তর করেছে পুলিশ। জয়দেবপুর থানার সদর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. আশরাফুল ইসলাম মুদ্রা উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, দ্বিগ্ধা গ্রামের দিগেন্দ্র চন্দ্র মল্লিক সম্প্রতি তাদের পৈতৃক সম্পত্তি তিন ভাই বণ্টন করে নেন। বণ্টনে ছোট ভাই উপেন্দ্র চন্দ্র মল্লিকের সীমানায় তাদের দাদার আমলের পুরোনো বসতভিটা পড়ে। মাটির তৈরি বসতঘরটি সরিয়ে বড় ভাইয়ের সীমানায় নেওয়ার জন্য বুধবার মাটিকাটার ছয়জন লোক নিয়োগ করেন দিগেন্দ্র চন্দ্র মল্লিক। বৃহস্পতিবার ঘরের ভিটার মাটি কাটার সময় ইদ্রিস নামের এক শ্রমিকের কোদালের নিচে পিতলের তৈরি দুটি মগ দেখতে পান। পরে দেখেন মগের মধ্যে কিছু পুরোনো মুদ্রা।
অন্য সঙ্গীরা বিষয়টি টের পেয়ে সবাই মিলে মুদ্রাগুলো নিয়ে যান। পরে নিজেদের মধ্যে মুদ্রা বণ্টন নিয়ে ঝগড়া হলে তাদের মধ্যে কেউ বিষয়টি পুলিশকে জানান। খবর পেয়ে জয়দেবপুর থানার সদর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. আশরাফুল ইসলাম শনিবার মাটিকাটা শ্রমিক ইদ্রিসের কাছ থেকে ৩৫টি মুদ্রা উদ্ধার করে থানায় হস্তান্তর করেন।
ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, উদ্ধার রৌপ্য মুদ্রাগুলো ১৮৮০, ১৮৮৮, ১৯০৭ সালসহ বিভিন্ন সালের। ৩৫০ গ্রাম ওজনের মুদ্রাগুলোর আনুমানিক বর্তমান বাজারমূল্য ৬০ হাজার টাকা।
বাড়ির মালিক দিগেন্দ্র চন্দ্র মল্লিক বলেন, তার বাবা রাজেন্দ্র চন্দ্র মল্লিক, দাদা বান্দুরাম মল্লিক আর বান্দুরাম মল্লিকের বাবা গুরুচরণ প্রায় দেড়শ বছর আগে এ মাটির ঘরটি নির্মাণ করেছিলেন।
তিনি আরও বলেন, তার বাবার দাদা গুরুচরণ ছিলেন এ এলাকার মাতব্বর। তিনি ওই সময় স্থানীয় জামুনা এলাকায় একটি জমি বিক্রি করেছিলেন। ওই জমি বিক্রির টাকাগুলো হয়তো ঘরের ভিটার মধ্যে দুটি পিতলের পাত্রে লুকিয়ে রেখেছিলেন। যেহেতু এ মুদ্রাগুলোর মালিক বংশ পরিক্রমায় আমরা, তাই এগুলোতে আমাদের হক রয়েছে। তিনি মুদ্রাগুলোর বর্তমান বাজারমূল্য সরকারের কাছে দাবি করেছেন।

দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন/ জে এফ জয়

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *