গাজীপুরে কিশোরীকে ‘ধর্ষণ’: ৪ আসামি রিমাণ্ডে
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
গাজীপুরে ‘জন্মদিনে ডেকে নিয়ে’ কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের হেফাজতে নেওয়ার আদেশ দিয়েছে আদালত। এরা হলেন কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরের নৈয়পুর গ্রামের শরীফ হোসেন (১৮), ময়মনসিংহের ঈশ্বগঞ্জের উজান চন্দ্রপাড়া গ্রামের ইমরান হাসান সুজন (১৯), গাজীপুরের শ্রীপুরের নয়নপুর গ্রামের শরীফ উদ্দিন মোল্লা (২০) ও ময়মনসিংহের ত্রিশালের গোলাভিটা গ্রামের এক কিশোর (১৬)।
গতকাল মঙ্গলবার বিচারিক হাকিম মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন প্রথমোক্ত তিনজন এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক এমএলবি মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ শেষোক্ত আসামিকে রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন। শেষোক্ত আসামি কিশোর হওয়ায় তার বিচার হবে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের শিশু আদালতে।
গাজীপুর আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. রকিবুল ইসলাম জানান, শুক্রবার তাদের গ্রেপ্তার করে এবং রোববার পুলিশ প্রত্যেকের পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠায়। ওইদিন আদালত মঙ্গলবার রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।
শ্রীপুর থানার এসআই মো. নাজমুল সাকিব মামলার বরাত দিয়ে জানান, গত ১৫ জানুয়ারি বিকালে চার বন্ধু (আসামি) শরীফ হোসেনের জন্মদিনের কথা বলে ওই কিশোরীকে তাদের বাসা থেকে শ্রীপুরের নয়নপুর এলাকার একটি বাসায় নিয়ে যায় এবং জন্মদিনের কেক কেটে সবাই মিলে হইহল্লা করে। এক পর্যায়ে এনার্জি ড্রিংকসে নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে ওই চারজন কিশোরীকে অচেতন করে ফেলে; পরে পাশের একটি ঝোপে নিয়ে হাত-পা, মুখ বেঁধে তাকে দলবেঁধে ধর্ষণ করে।
এসআই সাকিব আরও বলেন, এরপর তারা একটি সেলুনে বসে এ ঘটনার উল্লেখ করে একটি ভিডিও তৈরি করে এবং তা এক আসামির ফেইসবুকে আপলোড করে।
সাকিব জানান, এ ঘটনায় ১৬ জানুয়ারি কিশোরীর মা বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় দÐবিধি এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দুটি মামলা দায়ের করেছেন এবং র্যাব-১-এর কার্যালয়ে অভিযোগ করেন। শুক্রবার ময়মনসিংহ ও গাজীপুরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে র্যাব-১ সদস্যরা তাদের আটক করেন।