গাজীপুরের সাফারি পার্কে নায়ালার ঘরে নতুন অতিথি
গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে একটি নায়ালা শাবকের জন্ম হয়েছে। লাজুক প্রকৃতির হওয়ায় সচরাচর এদের দেখা মেলে না। তবে কয়েকদিন আগে জন্ম নেওয়া একটি শাবকের দেখা মিলেছে সম্প্রতি।
নায়ালা আফ্রিকান সাভানা অঞ্চলের একটি প্রাণী। একে সর্পিল শিংযুক্ত হরিণ বলেও অভিহিত করা হয়।
সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, সাফারি পার্কের প্রাকৃতিক পরিবেশে নায়ালার বিচরণ। এই পার্কে এর আগেও একটি শাবকের জন্ম হয়েছিল। তবে সেসময় শাবকটি শিয়ালে খেয়ে ফেলে। এরপর বয়স্ক একটি পুরুষ নায়ালা মারা যায়। সম্প্রতি পার্কে একটি নায়ালা শাবকের জন্ম হলেও প্রথমদিকে তার দেখা মেলেনি। পার্কের জেব্রা বেষ্টনীতে এ শাবক ও তার মাকে দেখা গিয়েছে সম্প্রতি। কাছে যেতে না পারায় এখনও শাবকটির লিঙ্গ নির্ধারণ করা যায়নি।
বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের বন্যপ্রাণী পরিদর্শক সরোয়ার হোসেন খান বলেন, এ প্রাণীটি হরিণ প্রজাতির মতো দেখতে। স্ত্রী নায়ালার শিং থাকে না। তবে পুরুষের শিং থাকলেও সে শিংয়ের শাখা থাকে না। এরা তৃণভোজী প্রাণী। ছোট ঘাস, লতাপাতা এদের পছন্দের খাবার। লাজুক হওয়ায় মানুষের উপস্থিতি টের পেলেই এরা লুকিয়ে পড়ে। দিনের বেশিরভাগ সময় লুকিয়ে থেকে সকাল ও শেষ বিকেলে এরা সক্রিয় হয়। স্ত্রী নায়ালা প্রতিবার একটি করে শাবকের জন্ম দেয়।
তিনি আরও বলেন, এদের দেহের দৈর্ঘ্য ১৩৫-১৯৫ সেন্টিমিটার এবং ওজন হয় ৫৫-১৪০ কেজি পর্যন্ত। এদের শরীরে ১০টিরও বেশি সাদা ডোরাকাটা দাগ থাকে। তবে চেরাচালান, বাসস্থান ধ্বংস, কৃষি ও গবাদিপশু চারণের কারণে এদের সংখ্যা কমে আসছে। এরই মধ্যে ‘ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার’ প্রাণীটিকে ন্যূনতম বিপদগ্রস্ত হিসেবে উল্লেখ করেছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তবিবুর রহমান বলেন, দেশি-বিদেশি নানা প্রাণীর সমহার এখন এই সাফারি পার্কে। দর্শনার্থীদের বিনোদন ও অজানা প্রাণীর সঙ্গে পরিচয়ের দ্বার খুলে দিয়েছে এই পার্ক। এর আগেও একটি নায়ালা শাবকের জন্ম হলেও সেটি শিয়ালে খেয়ে ফেলে। এবার জন্ম নেওয়া শাবকটি নিরাপত্তার সঙ্গেই বড় হচ্ছে।