গবেষণা করতে বলেছি, কচুরিপানা খেতে বলিনি : পরিকল্পনামন্ত্রী
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, কচুরিপানা নিয়ে তার বক্তব্য কিছু সংবাদমাধ্যমে ‘বিকৃতভাবে’ উপস্থাপন করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার তিনি সাংবাদিকদের বলেন, কচুরিপানার বিষয়ে আমার কৃষি গবেষকদের বলেছি গবেষণা করতে, কাউকে কচুরিপানা খাওয়ার জন্য আমি কখনও বলি নাই।
সোমবার এনইসি সম্মেলন কক্ষে রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট ফোরামের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী কাঁঠালের আকার ‘সিভিলাইজড’ করার পাশাপাশি কচুরিপানার পাতা নিয়ে গবেষণা করতে গবেষকদের প্রতি আহ্বান জানান।
ওই খবর সংবাদমাধ্যমে এলে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে নানা আলোচনা শুরু হয়। কোনো কোনো প্রতিবেদনে পরিকল্পনামন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে লেখা হয়, গরু কচুরিপানা খেতে পারলে আমরা কেন পারব না।
মঙ্গলবার একনেক সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমার বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে। দেশের মানুষের কল্যাণে আমার গবেষকদের যে কোনো বিষয়ে গবেষণা করতে বলতে পারি। আমি গবেষকদের পরামর্শ দিয়েছি, নিউজ করতে বলিনি। বিষয়টি এভাবে আসবে ভাবিনি।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমি এই বাংলার মানুষ। আমি কীভাবে কচুরিপানা খাওয়ার কথা বলি! তাহলে আমি কি কচুরিপানা খাই? আপনারাই বলেন। আমি আমার গবেষকদের গবেষণা করতে বলেছি। গবেষণা তো কত কিছু নিয়েই করা যায়। আমি শুধু কচুরিপানা নয়, কাঁঠাল ছোট করার বিষয়েও গবেষণা করতে বলেছি।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, মিডিয়ার অবাধ স্বাধীনতা আছে, কিন্তু সেটা যেন শুদ্ধ চর্চা হয়। আমি আশা করি প্রিয় সাংবাদিকরা দয়া করে এ বিষয়টি ভবিষ্যতে খেয়াল রাখবেন। কারণ স্বাধীন সাংবাদিকতা মানে যা খুশি তা লিখে দেওয়া নয়। সবাই যেন বিষয়টি বুঝে শুনি লিখি।
আগের দিন আসলে কী ঘটেছিল সে কথা তুলে ধরে মান্নান বলেন, বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় রূপান্তর কৃষিতেই হয়েছে। ওখান থেকে অন্যান্য ক্ষেত্রে ছড়িয়ে পড়েছে। কৃষিসহ অন্য ক্ষেত্রে গবেষণা আরো বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছি।
এরপর হাসতে হাসতে রসিকতা করে আমি গবেষকদের বললাম, কচুরিপানার কিছু করা যায় কিনা দেখেন। পাশ থেকে একজন গবেষক বললেন, ‘কচুরিপানা গরু খায় স্যার’। তখন গবেষকদের কচুরিপানা নিয়ে গবেষণা করতে বলেছি। আমি আবারও বলছি, কাউকে খাওয়ার জন্য বলিনি।