গবাদিপ্রাণি লালন-পালন গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য : সিটি মেয়র
খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, গবাদিপ্রাণি লালন-পালন গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যের অংশ। চাষাবাদ থেকে শুরু করে প্রাত্যহিক জীবনে গবাদিপ্রাণি মানুষের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। মানুষের খাদ্য ও পুষ্টির চাহিদা পূরণসহ গ্রামীন জনপদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নেও গবাদিপ্রাণির রয়েছে উল্লেখযোগ্য ভ‚মিকা।
সিটি মেয়র গতকাল শনিবার সকালে নগরীর সিএসএস আভা সেন্টারে ‘‘গবাদিপ্রাণি লালন-পালনে প্রশিক্ষণ, প্রদর্শনী ও প্রযুক্তির ব্যবহার’’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করছিলেন। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর-খুলনা এ কর্মশালার আয়োজন করে। খুলনা বিভাগের জেলা ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এবং প্রকল্পের সুবিধাভোগীগণ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।
সিটি মেয়র প্রকল্পটিকে সরকারের সুচিন্তিত পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, প্রকল্পটি সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হলে তৃণমূল পর্যায়ের মানুষের ভাগ্য উন্নয়ন ও যুব সমাজের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। ফলে মানুষের কাজের সন্ধানে শহরমুখী হওয়ার প্রবণতা কমবে। তিনি খামারিদের গবাদিপ্রাণি লালনপালনে উৎসাহিত ও রোগ প্রতিরোধ বিষয়ে সচেতন করে তোলার জন্য সংশ্লিষ্টদের আন্তরিকতার সাথে কাজ করার আহবান জানান।
বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তর-খুলনার উপপরিচালক মাসুদ আহমেদ খান-এর সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন ও খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো: জিয়াউর রহমান। প্রকল্পের কার্যক্রম পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে তুলে ধরেন প্রকল্প পরিচালক ডা. দিলীপ কুমার ঘোষ এবং সঞ্চালনা করেন অতিরিক্ত জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. অরুণ কান্তি মন্ডল। অন্যান্যের মধ্যে কৃষকলীগ নেতা শ্যামল সিংহ রায়, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. গোলাম মোস্তফা, ডা. এবিএম জাকির হোসেন, ডা. মাসুমা আক্তার, প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের মধ্যে তোফাজ্জেল হোসেন তুষার, হেমায়েত উদ্দিন, বিপুল মজুমদার প্রমুখ কর্মশালায় বক্তৃতা করেন।