November 24, 2024
আঞ্চলিকলেটেস্ট

খুলনা-৪ আসনে দলীয় মনোনয়ন জমা দিলেন নগর যুবলীগ সভাপতি পলাশ

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনা-৪ আসনে বাংলাদেশ আ’লীগের মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন খুলনা মহানগর যুবলীগের সভাপতি সফিকুর রহমান পলাশ। রোববার সন্ধ্যায় ঢাকার বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউয়ে অবস্থিত আ’লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলীয় মনোনয়ন ফরম পূরণ করে জমা দেন তিনি। এর আগে রোববার সকালে দলীয় প্রার্থী হওয়ার প্রত্যাশায় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ২৩নং ওয়ার্ড আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়েজুল ইসলাম টিটো, নাসির হোসেন সজল, শেখ নাজমুল হাসান, সাবেক ছাত্রনেতা আসিফ ইকবাল টনি, মেহেদী হাসান রাসেল, নগর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি জহির আব্বাস, ইয়াসিন আরাফাত, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান রাজেস, ও ছাত্রলীগ নেতা মোঃ শামীম শেখ প্রমুখ।

সফিকুর রহমান পলাশ ১৯৭৬ সালের ৪ ডিসেম্বর রূপসা উপজেলার রাজাপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা মসফিকুর রহমান ও মাতা গৃহিনী শাহানার বেগম। রূপসা, ভৈরব ও আঠারোবেকি নদীর তীরে বেড়ে ওঠা সফিকুর রহমান পলাশ ছাত্র জীবন থেকে পারিবারিক ভাবে জাতির পিতার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে লালন করে রাজনীতি ও জনগণের সেবা করে এসেছেন। তার চাচা ও মামারা স্থানীয় আ’লীগের বিভিন্ন দায়িত্বশীল পদে বিভিন্ন সময় দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ১৯৮৮ সালে ছাত্রজীবনে বেলফুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে ছাত্রলীগের পদে আসেন। এর পরে ইউনিয়ন, উপজেলা, কলেজ ও মহানগর ছাত্রলীগের বিভিন্ন দায়িত্বশীল পদে দায়িত্ব পালন শেষে ২০০৩ সালে খুলনা মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ছাত্র জীবনে তিনি, সরকারি মজিদ মেমোরিয়াল সিটি কলেজের ১৯৯১-৯২ সালের ছাত্র সংসদের নির্বাচিত শ্রেণি প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। পরবর্তী ৯৩-৯৪ ছাত্র সংসদে তিনি নির্বাচিত ছাত্র মিলনায়তন সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ছাত্র জীবনে ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের বিরোধীদল দমনে চালানো অপারেশন ক্লিন হার্টের সময় নগর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হয়ে সরকারি বিরোধী কর্মসূচি পালন করায় মিথ্যা মামলায় কারাভোগ করেন। ২০০৪ সালে বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্র মূলক মিথ্যা মামলা, দ্রুত বিচার আইনের মামলার আসামি হন। ২০০৬ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত সেনা শাসিত তত্ত¡াবধায়ক সরকারের আমলে অসংখ্য মিথ্যা মামলার আসামি হন। পরবর্তীতে তার ছাত্র রাজনীতির সফলতার কারণে তাকে ২০১৯ সালে খুলনা মহানগর যুবলীগের আহবায়ক ও ২০২৩ সালে খুলনা মহানগর যুবলীগের সম্মেলনে বিনাপ্রতিদ্ব›িদ্বতায় সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়।

মনোনয়ন জমাদান শেষে সফিকুর রহমান পলাশ জানান, গণতন্ত্র ও উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় নির্বাচনের কোন বিকল্প নাই। যারা জনগণের ক্ষমতায়নে বিশ্বাসী না, তারা নির্বাচন চায় না। আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লড়াইয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একজন সৈনিক হিসেবে দলের নিকট মনোনয়ন চেয়েছি। দলের সর্বোচ্চ ফোরাম, আমাদের অভিভাবকেরা দায়িত্ব দিলে আমি দায়িত্ব পালনে প্রস্তুত। আমি ব্যতিত অন্য কেউ দলের মনোনয়ন পেলেও নৌকার বিজয়ে আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকবো।

শেয়ার করুন: