খুলনা মেডিকেলে দু’দিনে তিনজনের ‘করোনা’ শনাক্ত
জয়নাল ফরাজী : গত দুই দিনে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের পিসিআর মেশিনে নমুনা পরীক্ষার পর তিনজনের শরীরে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) ধরা পড়েছে। এদের মধ্যে গতকাল সোমবার দুইজনের ও রবিবার একজনের শরীরে করোনা ধরা পড়ে। খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ সোমবার রাতে দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সোমবার খুলনা মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে ৪৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তারমধ্যে দুটি নমুনা পরীক্ষা পজিটিভ হয়। এদের মধ্যে একজনের বাসা মহানগরীর সোনাডাঙ্গা থানাধীন ছোট বয়রাস্থ করিমনগর এলাকায়। ষাটোর্ধ্ব ওই ব্যক্তি তাবলিগ জামাত করতেন। তাবলিগ জামাত থেকেই তিনি সংক্রমিত হয়েছেন বলে ধারনা। পজিটিভ হওয়া আরেকজন নড়াইলের। ৩০ বছর বয়সী ওই যুবক লোহাগড়া উপজেলার বাসিন্দা। নড়াইল প্রশাসন এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।
এর আগে গত রবিবার প্রথমবারের মতো খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের পিসিআর মেশিনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। তিনি যশোরের মনিরামপুর উপজেলার ইউনিয়ন পর্যায়ের একজন স্বাস্থ্যকর্মী।
এ বিষয়ে খুলনার সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিনকে জানান, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কোভিড-১৯ শনাক্ত হওয়া তিনজনের দুইজনই খুলনার বাইরের। তাদের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। খুলনায় প্রথম করোনা শনাক্ত হওয়ায় মহানগরীর করিমনগর এলাকা লকডাউন করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরের অবস্থা ভালো থাকায় তাকে বাসায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। ওই বাসায় শুধু তিনি একাই রয়েছেন। সেখানে অবনতি হলে হাসপাতালে রাখা হবে। তার পরিবারের সকল সদস্যকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
এদিকে খুলনা জেলা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সিদ্ধান্ত অনুয়ায়ী সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন-২০১৮ এর ১১(২) ধারা অনুসারে খুলনা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং জেলা পর্যায়ে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ও প্রতিরোধসহ সার্বিক ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ হেলাল হোসেন উক্ত এলাকা পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত অবরুদ্ধ (লকডাউন) ঘোষণা করেন। উক্ত আদেশ ভঙ্গকারী বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।