খুলনা নগরে বর্ধিত সভা ১৮ মে, জেলায় ১৯ মে
সম্মেলন ঘিরে আ’লীগের কেন্দ্রীয়
টিমের সাংগঠনিক সফর শুরু
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনকে সামনে রেখে কেন্দ্রীয় যে আটটি সাংগঠনিক টিম গঠন করা হয়েছে, সেসব টিমের জেলা সফর কর্মসূচি শুরু হয়েছে। গতকাল শনিবার থেকে খুলনা বিভাগের জেলাগুলোতে এই সাংগঠনিক সফর শুরু হয়। এরপর অন্যান্য বিভাগেও দ্রুতই এই সফর কর্মসূচি শুরু হবে। শনিবার খুলনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা চুয়াডাঙ্গায় সাংগঠনিক সফর এবং জেলা আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় অংশহগ্রহণ করেন।
আজ রবিবার ও সোমবার (১২ ও ১৩ মে) যশোর এবং নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগ, ১৪ মে সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগ, ১৮ মে খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ, ১৯ মে খুলনা জেলা আওয়ামী লীগ, ২০ মে বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগ এবং ২১ মে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হবে। এসব সভায় খুলনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক টিমের নেতারা অংশগ্রহণ করবেন।
এই সাংগঠনিক টিমের সদস্যরা হলেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য পিযূষ কান্তি ভট্টাচার্য, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য মন্নুজান সুফিয়ান, এসএম কামাল হোসেন, অ্যাডভোকেট আমিরুল ইসলাম মিলন ও পারভীন জামান কল্পনা।
এদিকে গতকাল শনিবার চুয়াডাঙ্গা সফরের মধ্যদিয়ে খুলনা বিভাগের জেলাসমূহে দলটির এই সাংগঠনিক সফর শুরু হলো। ইতোমধ্যে খুলনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ চুয়াডাঙ্গায় সাংগঠনিক সফর এবং জেলা আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় অংশ নেন।
মূলত আগামী সেপ্টম্বর মাসে আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। চুয়াডাঙ্গায় বর্ধিত সভার মধ্যদিয়ে জেলায় বর্ধিত সভা কার্যক্রম শুরু করলো আওয়ামী লীগ। চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় বর্ধিত সভা। সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও খুলনা বিভাগীয় সাংগাঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত আব্দুর রহমান।
আব্দুর রহমান বলেন, আগামী সেপ্টম্বরে দলের জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। তার আগেই প্রতিটি জেলাতে বর্ধিত সভা করা হবে। দলের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের কথা শুনা হবে। তারা কি চান, জনগণ আওয়ামী লীগের কাছে কি চাই, সেটি আগে পরিষ্কার হতে হবে।
তিনি ইঙ্গিত দিয়ে বলেন, আওয়ামী লীগ একটি পরিচ্ছন্ন রাজনীতিক দল। আগামীতে সৎ পরিচ্ছন্ন ও ক্লিন ইমেজের রাজনীতিবিদরা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আসবেন। তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত সবখানে এমন রাজনীতিক নেতাদের প্রাধান্য দেওয়া হবে। কোনভাবেই দলে বিতর্কিতদের রাখা হবে না। কারণ আওয়ামী লীগ জনগণের দল, জনগণ কি চাই জননেত্রী শেখ হাসিনা তা খুব ভাল করে জানেন।
আব্দুর রহমান বলেন, ভালো সময় যখন থাকে তখন ষড়যন্ত্র বেশি হয়। আজ আমাদের ভালো সময় কিন্তু আমি বলবো দুঃসময়। দেশের মানুষ এখন শান্তিতে বসবাস করছে। কিন্তু একটি মহল আওয়ামী লীগকে জনগণের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চাইছে। তাদের এই ষড়যন্ত্র কোনভাবেই সফল হতে দেয়া যাবে না। কারণ দেশের প্রাচীনতম রাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এই দলকে আরও শক্তিশালী করতেই তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নিয়ে কাজ করা হচ্ছে।
এর আগে, বর্ধিত সভার উদ্বোধন করেন দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি। বর্ধিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এস এম কামাল হোসেন, অ্যাডভোকেট আমিরুল আলম মিলন, পারভিন জামান কল্পনা ও চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হাজী আলী আজগার টগর এমপি (চুয়াডাঙ্গা-২)।