December 27, 2024
আঞ্চলিক

খুলনা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের রায় পুত্রবধূকে ধষর্ণে বাঁধা দেয়ায় শাশুড়িকে হত্যা : তিন আসামির যাবজ্জীবন

দ: প্রতিবেদক

যশোর জেলা সদরের ইছাপুর গ্রামের নববধূ লাবনী বেগমকে ধর্ষণে বাঁধা দেয়ায় শাশুড়ি রহিমা বেগম লিপি (৫০) কে হত্যার দায়ে তিন আসামির প্রত্যেককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরো ২ বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত। গতকাল বুধবার দুপুরে খুলনার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম এ রব হাওলাদার এ রায় ঘোষণা করেছেন।

অপরদিকে ধর্ষণের চেষ্টার মামলায় ওই তিনজন আসামির প্রত্যেককে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড, ৫ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেয় আদালত। মামলায় অভিযুক্ত একজন আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, যশোর জেলা সদরের ইছাপুর গ্রামের মনছের আলির ছেলে মো. সাইদুল ইসলাম (২৬), আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মো. জাহিদ (২৬), শহীদ মোল্লার ছেলে মো. কুদ্দুস (২৬)। খালাস হওয়া আসামি হলেন, মহাদেবপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে মো. সাইফুল ইসলাম (২৭)। রায় ঘোষণাকালে দণ্ডপ্রাপ্ত তিনজন আসামি আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।

আদালতের উচ্চমান বেঞ্চ সহকারী ফকির মো. জাহিদুল ইসলাম নথীর বরাত দিয়ে জানান, ২০১৩ সালের ২৩ ফেব্রæয়ারি রাত ৮টার দিকে যশোর জেলা সদরের ইছাপুর গ্রামের দিনমজুর মো. লিটনের নববধূ লাবনীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে আসামিরা। এসময় লিটনের মা লিপি বেগম তাদের বাঁধা দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আসামিরা ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে লিপি বেগমকে। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে মো. লিটন বাদী হয়ে ২৪ ও ফেব্রুয়ারি সাইদুল ও জাহিদের নাম উল্লেখসহ আরো অজ্ঞাত ২ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন যার নং- ৮৬। ২০১৫ সালের ২৭ মে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা যশোর কতোয়ালী থানার এসআই মো.মাসুম বিল্লাহ আদালতে সাইদুল, জাহিদ ও কুদ্দুসকে অভিযুক্ত এবং সাইফুল ইসলামকে বাদ দিয়ে ৩জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। পরে বাদী ওই চার্জশিটের বিরুদ্ধে আদালতে নারাজী দেয়। আদালত নারাজী গ্রহণ করে মামলাটি পুনঃতদন্তের জন্য সিআইডিতে প্রেরণ করেন। পরে সিআইডি পরিদর্শক মো. হারুন-অর-রশিদ আবারও সাইদুল, জাহিদ ও কুদ্দুসকে অভিযুক্ত এবং সাইফুল ইসলামকে বাদ দিয়ে তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। আদালত মামলার চার্জগঠনের সময় সাইফুল ইসলামকে সংযুক্ত করে চার্জগঠন করে। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন পিপি এ্যাড. এনামুল হক ও অতিরিক্ত পিপি এ্যাড. শাকেরিন সুলতানা।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *