খুলনা থেকে মন্ত্রী হচ্ছেন কে
* আলোচনায় সেখ জুয়েল, মন্নুজান সুফিয়ান, নারায়ণ চন্দ্র
জয়নাল ফরাজী
একাদশ জাতীয় সংসদের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা আজ বৃহস্পতিবার সকালে শপথ গ্রহণ করবেন। আর আগামী ১০ জানুয়ারির মধ্যে সরকারের নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করা হবে। খুলনার ৬টি সংসদীয় আসনের মধ্য থেকে মন্ত্রী পদে আলোচনায় আছেন বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্য। এদের মধ্যে একজন বর্তমান মন্ত্রী, আরেকজন সাবেক প্রতিমন্ত্রী, অপরজন একেবারেই নতুন মুখ। এই তিনজনের মধ্য থেকেই যে কেউ হতে পারেন সরকারের নতুন মন্ত্রিসভার সদস্য।
সূত্র জানায়, খুলনা-৫ (ডুমুরিয়া-ফুলতলা) আসন থেকে টানা তৃতীয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। যিনি বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে তিনি একই মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে তিনি ধানের শীষের প্রার্থী মিয়া গোলাম পরওয়ারকে প্রায় দুই লাখ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেছেন। এবারও তিনি নতুন মন্ত্রিসভায় স্থান পেতে পারেন এমন গুঞ্জন রয়েছে তার নির্বাচনী এলাকায়।
খুলনা-৩ (খালিশপুর-দৌলতপুর-খানজাহান আলী) আসন থেকে টানা তৃতীয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন শ্রমিক নেত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান। ২০০৮ সালের নির্বাচনে তিনি জয়লাভ করে ২০১৩ সাল পর্যন্ত— শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। নতুন সরকারের মন্ত্রিসভায় আবারও তাকে দেখতে চায় এলাকাবাসী।
খুলনা-২ (সদর-সোনাডাঙ্গা) আসন থেকে এবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র সেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল। যিনি রাজনীতির ময়দানে একেবারেই নতুন। এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে প্রায় ৮৫ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেছেন তিনি। ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য হয়েও রাজনীতির বাইরে থাকা এ নবীন সংসদ সদস্য এবার মন্ত্রী পদেও বেশ আলোচনায়। খুলনা শহরজুড়ে তার মন্ত্রিসভায় থাকা নিয়ে গুঞ্জন।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য মশিউর রহমান সুমন বলেন, ‘খুলনা থেকে এবার সেখ জুয়েলকে মন্ত্রিসভায় স্থান দেওয়া উচিত। রাজনীতিতে নতুন হলেও তিনি বর্তমানে জনপ্রিয়তার শীর্ষে। পরিচ্ছন্ন রাজনৈতিক নেতা হিসেবে তিনি ইতোমধ্যে সুনাম কুড়িয়েছেন। তাকে এবারের মন্ত্রিসভায় দেখতে চায় খুলনাবাসী।’
খুলনা মহানগর যুবলীগের সদস্য ও নগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সফিকুর রমান পলাশ বলেন, ‘জাতির পিতার ভ্রাতুষ্পুত্র সেখ জুয়েলকে মন্ত্রিসভায় আনা উচিত। তিনি মন্ত্রী হলে খুলনাসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হবে। তিনি পরিচ্ছন্ন ব্যক্তি, তার কাছে অসাধুরা ঠাঁই পাবে না। সেক্ষেত্রে তাকে মন্ত্রী করলে খুলনাসহ এ অঞ্চলে কোন দুর্নীতিবাজের স্থান হবে না। সেখ জুয়েলের বাইরে যদি মন্ত্রী করতে হয় তাহলে বেগম মন্নুজান সুফিয়ানকে করা যেতে পারে বলে তিনি জানান।’
খুলনা জেলা পরিষদের সদস্য ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা চৌধুরী রায়হান ফরিদ বলেন, ‘খুলনা থেকে এখন নারায়ণ চন্দ্র চন্দ মন্ত্রী আছেন। এবারও তিনি বেশ আলোচনায়। তবে সেখ সালাহউদ্দিন জুয়েলকে মন্ত্রী করলে খুলনার কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন পাওয়া যাবে। খুলনাবাসী আর বঞ্চনার শিকার হবে না, বদলে যাবে শিল্পনগরী খুলনার দৃশ্যপট।’