খুলনা জেলা আ’লীগের সহ-সভাপতিসহ ১১২ জন নেতাকর্মী সাময়িক বহিস্কার
বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ও নৌকার বিপক্ষে কাজ করায়
দ. প্রতিবেদক
খুলনার ডুমুরিয়ায় উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে বিদ্রোহী ও নৌকার প্রতিপক্ষ প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এবিএম শফিকুল ইসলাম, জেলা পরিষদের সদস্য মহিলা লীগ নেত্রী শোভা রানী হালদারসহ ১১২ জন দলীয় নেতাকর্মীকে সাময়িক বহিস্কার করেছে জেলা আওয়ামী লীগ। গতকাল শুক্রবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন জেলা আ’লীগের দপ্তর সম্পাদক এম এ রিয়াজ কচি।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গত ১১ সেপ্টেম্বর নির্বাহী কমিরি সভায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলের মধ্যে নৌকা মার্কার বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিমসংগঠনের যে নির্বাচন করবে এবং দলের মধ্যে যারা বিদ্রোহী/ নৌকার বিপক্ষের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করবে তাদেরকের সাময়িক বহিষ্কার করে চূড়ান্ত বহিস্কার করার জন্যে কেন্দ্রে তাদের নাম পাঠানোর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। গত ২৯ অক্টোবর ডুমুরিয়া উপজেলা আ’লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্তে বিদ্রোহী প্রার্থী ও বিপক্ষ প্রার্থীদের পক্ষে সহয়তা করা নেতৃবৃন্দদেরকে বহিষ্কার করার জন্য জেলা আ’লীগ বরাবর রেজুলেশনসহ সুপারিশ করেন উপজেলা আ’লীগের সভাপতি নারায়ন চন্দ্র চন্দ এমপি ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শাহনওয়াজ হোসেন জোয়ার্দ্দার।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, কেন্দ্রের নির্দেশনা মোতাবেক জেলা আ’লীগের সভাপতি আলহাজ্ব শেখ হারুনুর রশিদ ও সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. সুজিত অধিকারীর নির্দেশক্রমে সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের জেলা শাখা সিদ্ধান্ত মোতাবেক ডুমুরিয়ায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী ও বিপক্ষ প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় এদের সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে।
বহিস্কৃতরা হলেন- ৫নং আটলিয়া ইউনিয়নে এ,বি,এম শফিকুল ইসলাম, সরদার অহিদুল ইসলাম, নগেন্দ্র নাথ মন্ডল, শেখ আব্দুস সবুর, বিধান বিশ্বাস, মোঃ মামুন শেখ, জাহিদ হাসান নয়ন, তরিকুল ইসলাম বাবু, ইমরান হোসেন, ফাইমুল ইসলাম জনি, নাজমুল ইসলাম মুন্না, ৬নং মাগুরাঘোনা ইউনিয়নে মোঃ হামিদুর রহমান চৌধুরী, মোঃ জালাল উদ্দীন শেখ, মোঃ আলাল মোড়ল, মোঃ সবুর মোড়ল, মোঃ ওশিউর রহমান, ৩নং রুদাঘরা ইউনিয়নে মোল্যা বাবর আলী, তকিম উদ্দীন সরদার, আজগর হোসেন, মফিজুর রহমান মোড়ল, আব্দুল্লাহ মোড়ল, আবুল হোসেন গোলদার, সৌভিক বসু শুভ, সুব্রত গাইন জয়ন্ত, ইয়াছিন আরাফত বাবু, রবিউল ইসলাম, ছাব্বির আহম্মেদ মাজিন, মোঃ নাহিদ আল-মামুন, ২নং রঘুনাথপুর ইউনিয়নে এস,এম গাউছুল হক, হরবিলাস রায়, বি এম কামাল হোসেন, সুভাষ চন্দ্র সরকার, সুভাষ চন্দ্র বৈরাগী, ৪নং খর্ণিয়া ইউনিয়নে শেখ আসাদুজ্জাম সাধারণ সম্পাদক, আঃ সাত্তার, আঃ রাজ্জাক মোড়ল, জগদীশ চন্দ্র মল্লিক, আঃ গফুর মোল্যা, রতন দাস, হাদিউজ্জামান, মেহেদী হাসান লিমন, মোঃ তুহিন খান, ৭নং শোভনা ইউনিয়নে নওশের আলী বাগাতি, শিবু পদ গোলদার, অশোক সরকার, শেখ জিল্লুর রহমান, শহীদ দফাদার, বিকাশ দাস, তুলশী দেবনাথ, অহিদুজ্জামান লিপু, রবীন ঢালী, দয়াল চক্রবর্ত্তী, সেবক মন্ডল, দিলীপ মন্ডল, আসাদুজ্জামান পারভেজ, কামরুজ্জামান টিপু রহিম গাজী, বাবুল মোল্যা, বীরেন্দ্র নাথ শীল, মিহির মজুমদার, প্রতাপ সরদার, ৯নং সাহস ইউনিয়নে সরদার ইলিয়াস হোসেন, শেখ ইয়াকুব আলি, শেখ গোলাম মাওলা, মহিউদ্দিন মোল্যা (লাচ্চু), মোঃ জশিম উদ্দীন সরদার, মোঃ ওসমান খান, ১০নং ভান্ডারপাড়া ইউনিয়নে অরুন কান্তি বিশ্বাস, আব্দুল জলিল মোল্যা, নৃপেন্দ্রনাথ বৈরাগী, রঞ্জন ঢালী, অমিত কুমার বিশ্বাস, এ্যাড. বিপুল মল্লিক, শশাংক বিশ্বাস, মোকবুল হোসেন, রাম প্রসাদ মন্ডল, ইলিয়াজ শেখ, শংকর বিশ্বাস, আনন্দ মন্ডল, খোরশেদ মির্জা, আব্দুর রাজ্জাক, গোলম রসুল, সুধাংসু মন্ডল, শোভা রাণী হালদার, ১২নং রংপুর ইউনিয়নে সৌমিত্র বিশ্বাস, আশিষ কবিরাজ, নিবাশ সদস্য, কল্যাণী বসাক, রমেশ বৈরাগী, কল্যান বাকচী, দেবকুমার মন্ডল, প্রকাশ মন্ডল, তুষার মল্লিক, গৌর চন্দ্র ঢালী, দেবাশীষ মন্ডল, মনোজ গোলদার, মানস ঘরামী, ১৩ নং গুটুদিয়া ইউনিয়নে কাজী নুরুল ইসলাম, সুধীর বিশ্বাস, নিহার রঞ্জন সরকার, বিরাজ কান্তি মল্লিক, মেহেদী হাসান রাজা, ১৪নং মাগুরখালী ইউনিয়নে গুনেন্দ্রনাথ বিশ্বাস, স্বপন সরকার, মনিন্দ্রনাত মন্ডল, প্রনথ কান্তী মন্ডল, মনোজ সরকার, কৃষ্ণপদ মন্ডল, প্রমথ রঞ্জন বালা, শংকর কুমার সরকার, অরুপ রতন মন্ডল, সুকুমার সরকার, বিমল কৃষ্ণ সানা, বিকাশ চন্দ্র রায় ও সুব্রত বিশ্বাস।