খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ
সর্বদলীয় আইনজীবী ঐক্য পরিষদের সংবাদ সম্মেলন
দ. প্রতিবেদক
খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে প্রভাবিত করা এবং নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগ তুলেছেন সর্বদলীয় আইনজীবী ঐক্য পরিষদের নেতারা। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে গঠনতন্ত্র মোতাবেক ১২ দফা নির্বাচন কমিশন বাস্তবায়ন না করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ারও হুমকি দিয়েছেন তারা। সোমবার দুপুরে খুলনা প্রেসকাবে সাংবাদিক সম্মেলনে নির্বাচনে অনিয়মের বিষয়ে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন সর্বদলীয় আইনজীবী ঐক্য পরিষদের আহবায়ক গাজী আব্দুল বারী।
এসময় তিনি বলেন, তফসিল ঘোষণার পর থেকেই নির্বাচন কমিশন পক্ষপাতমুলক আচরণ করে যাচ্ছে। ভোটকেন্দ্রে প্রার্থীর অবস্থান করার কোন নজির নেই। অথচ কমিশন একটি প্যানেলকে অবৈধ সুবিধা দেওয়ার জন্য ও ভোটারদের প্রভাবিত করার জন্য প্রার্থীদের বুথ বা কেন্দ্রের অভ্যন্তরে না থাকার বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি।
তিনি বলেন, তফসিল ঘোষণার পর রাজনৈতিক দলের ব্যানারে প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের উপস্থিতিতে বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে একটি প্যানেল প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। যা সম্পূর্ণ নীতিমালা বহির্ভূত। অথচ নির্বাচন কমিশন নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। এছাড়াও কমিশন একটি প্যানেলকে এতটাই সুযোগ দিতে প্রস্তুত যে অতীতে নির্বাচনের একদিন আগে ব্যালট পেপার কমিশন তাদের কাষ্টোডিতে আনতেন এবং ভোটের দিন সকালে ব্যালটে স্বাক্ষর করতেন। তবে বর্তমান কমিশন ১০ দিন পূর্বে ব্যালট ছাপিয়ে এনে স্বাক্ষর করে বর্তমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নিয়ন্ত্রিত রুমে রেখে দিয়েছেন। যারাই আবার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। যার ফলে ব্যালটের গোপনীয়তা ভঙ্গ হয়েছে। বিষয়টি এমন যে-শুটকির হাটে বিড়াল চৌকিদার। এই আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনের নিকট কোন সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এসব কারণে পরিষদের পক্ষ থেকে ১২ দফা সুপারিশ পাঠানো হয়েছে। যেগুলো হচ্ছে-কেন্দ্রের ভেতর কোন প্রার্থীর না থাকা নিশ্চিত করা, ব্যালটে কমিশনের স্বহস্তে স্বাক্ষর ও সিল থাকা, বুথে মাত্র একজন ভোটারের ভোট প্রদান নিশ্চিত করা, ভোট প্রদানের পর ব্যালট বাক্সে ফেলানো নিশ্চিত করা, কেন্দ্রে মোবাইল ব্যবহার না করতে দেওয়া, কেন্দ্র ও কেন্দ্রের বাইরে সিসি ক্যামেরা রাখা এবং তা বাইরে ডিসপ্লে করা, অপরিচিত ও ভিন্ন পেশা ভোটারদের ভোট দানের সময় জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদর্শন সৃষ্টি করা, ভোট গ্রহণ এবং শেষ পর্যন্ত বিকল্প আলোর ব্যবস্থা করা, ভোট গণনার সময় অবাঞ্চিত ব্যক্তিদের কেন্দ্রে থাকতে না দেয়া, পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন রাখা এবং নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সব ধরনের অনিয়ম নিয়ন্ত্রণ করা।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এসব দাবি বাস্তবায়নে পদক্ষেপ না নিলে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসময় সর্বদলীয় আইনজীবী ঐক্য পরিষদের সভাপতি প্রার্থী বেগম আক্তার জাহান রুকু ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মোল্লা মশিয়ুর রহমান নান্নুসহ অর্ধশতাধিক আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।
দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন/ এম জে এফ