খুলনা জিআরপি থানায় নারী আসামীকে গণধর্ষণের প্রমাণ মেলেনি : পিবিআই
দ: প্রতিবেদক
খুলনা রেলওয়ে (জিআরপি) থানায় এক নারীকে আটকে রেখে ৫ পুলিশের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের প্রমাণ পায়নি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই। তবে সাবেক ওসি উছমান গনি পাঠানের বিরুদ্ধে মারপিটের সত্যতা মিলেছে। গতকাল সোমবার খুলনা পিবিআই কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান পিবিআই, খুলনার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিছুর রহমান।
প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, হাসপাতালে ওই নারীর মেডিকেল পরীক্ষায় ধর্ষণের কোন আলামত মেলেনি। এছাড়া তাকে ডিএনএ পরীক্ষা করাতে গেলেও তিনি রাজি হননি। সংশ্লিষ্টদের জিজ্ঞাসাবাদেও ধর্ষণের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি।
তিনি আরও জানান, ২০১৯ সালের ২ আগস্ট বেনাপোল থেকে খুলনাগামী ট্রেন হতে এক নারীকে পাঁচ বোতল ফেনসিডিলসহ গ্রেপ্তার করে খুলনা জিআরপি থানায় আনা হয়। পরে এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের পর তাকে রাতে থানা হাজতে রাখা হয়। ওই রাতে থানার ভারাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উছমান গণি পাঠানসহ পাঁচ পুলিশ আসামিকে ধর্ষণ ও নির্যাতন করেন বলে তিনি ৩ আগস্ট আদালতে অভিযোগ করেন। এ ঘটনায় আদালত মামলা ও তিন সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করে ভুক্তভোগীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার নির্দেশ দেয়।
২৩ সেপ্টেম্বর ওই নারী বাদী হয়ে পাঁচ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। যা রেলওয়ে থানায় নিয়মিত মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয় এবং এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক মোহা. মহিদুজ্জামান বিষয়টি পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিছুর রহমান বলেন, তদন্তকালে রেলওয়ে থানার সাবেক ওসি ইনচার্জ উসমান গনি পাঠানসহ ৫ জন পুলিশ কর্তৃক মামলার বাদী সালমা বেগমকে ধর্ষণ ও যৌনপীড়নের সত্যতা না পাওয়ায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৯(৩)/১০/৩০ মামলায় আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে। একই সাথে নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে ওসি উসমান গনির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন কুষ্টিয়া রেলওয়ে সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার ফিরোজ আহমেদ।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, ধর্ষণের অভিযোগকারীর নামে আগেও খুলনার দৌলতপুর ও যশোর কোতোয়ালি থানায় মোবাইল চুরির অভিযোগে মামলা হয়। আর তার মা বাদী হয়ে ২০১১ সালে আসামিকে অপহরণের অভিযোগ করে ঢাকার পল্লবী থানায় একটি মামলা করেছিলেন। পরে এক লাখ টাকা নিয়ে আসামির সাথে সমঝোতা করে মামলা প্রত্যাহার করা হয়।