খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরু
মার্চে শুরু একাডেমিক কার্যক্রম
দ: প্রতিবেদক
প্রশাসনিক কার্যক্রমের উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করলো খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে উন্নয়নে আরোও একধাপ এগিয়ে গেলো খুলনাসহ দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ। ফুলের ফিতা কেটে প্রশাসনিক কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুর দেড়টা খুলনার সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকার ১ম ফেজে ১৫নং রোডে প্রশাসনিক কার্যক্রমের উদ্বোধন কালে এ কথা বলেন। সভা পরিচালনা করেন, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার ডা. খন্দকার মাজহারুল আনোয়ার শাজাহান।
এসময় সিটি মেয়র বলেন, ২০১১ সালের ৬ মার্চ খালিশপুরের প্রভাতী স্কুল মাঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ স্কুল ও কলেজ সরকারী করনের ঘোষণা দেন। ইতিপূর্বে স্কুল ও কলেজ সরকারি হয়েছে। আজ প্রধানমন্ত্রী তাঁর প্রতিশ্রæতির পূর্ণাঙ্গন বাস্তবায়ন করলেন। তিনি বলেন, দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলকে কৃষিতে উন্নয়ত করতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুলনায় কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করেছেন। এই বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের সর্বাধুনিক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হবে। তিনি দ্রæততম সময়ের মধ্যে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করেন।
তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করে আরো বলেন, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য জমির কোন অভাব হবে না। আপনারা শুধু সুষ্ঠু পরিকল্পনা গ্রহণ করে প্রকল্প বাস্তবায়ন করুন বাকি সব কিছু আমরা গুছিয়ে দেয়া হবে। তিনি আরো বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয় যেন কোন রাজনীতি না হয় এবং সাইন বোর্ড সর্বস্ব বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত না হয় সেদিকে নজর রাখার জন্য আহবান জানান।
এই বিশ্ববিদ্যালয়কে সর্বাধুনিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার ঘোষণা দিয়ে উপাচার্য প্রফেসর ড. মো: শহীদুর রহমান খান বলেন, খুলনা তথা দক্ষিণা পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিলো। দীর্ঘসময় গেলেও এ অঞ্চলের মানুষের চাহিদা পূরণ হতে চলেছে। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে আগামী মার্চ মাসে শিক্ষার্থী ভর্তির মধ্যদিয়ে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হবে। এছাড়া ৭টি অনুষদের ৫১টি বিভাগের অনুমোদন দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন। তবে প্রথম পর্যায়ে ৫শ’ কোটি ৮০ লাখ টাকা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু করেছি। এখানে এক হাজার ৫শ’ একর জমির প্রয়োজন রয়েছে। তবে প্রথম পর্যায়ে ৩ টি অনুষদে ১৫০ জন শিক্ষার্র্থী নিয়ে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করবে খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।
এসময় আরও বক্তব্য রাখেন, খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন, খুলনা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এস এম হাবিব। এসময় উপস্থিত ছিলেন খুলনা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি মকবুল হোসেন মিন্টু, খুলনা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি এস এম নজরুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি মো. ফারুক আহমেদ, খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি এস এম জাহিদ হোসেন, খুলনা প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মল্লিক সুধাংশু, সুবির রায়, মামুন রেজা, মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ, কৃষি ইনস্টিটিউট এর অধ্যক্ষ সোহরাব হোসেন, সোনালী ব্যাংকের জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, খুলনা চেম্বারের পরিচালক শেখ আসাদুর রহমান, ড. মো. হারুন অর রশিদ, মো. শহীদুজ্জামানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।