খুলনায় স্বর্ণ মেলার প্রথম দিনে চার কোটি ৪০ লাখ টাকার রাজস্ব আয়
দ: প্রতিবেদক
দেশে স্বর্ণের চাহিদা দিন দিন বেড়ে চলেছে। আমদানীর তুলনায় বিভিন্ন উপায়ে দেশে স্বর্ণ বেশি এসেছে। স্বাধীনতার ৪৮ বছরে এসব স্বর্ণের বৈধতা ছিলনা। ব্যবসায়ীরা এটা নিয়ে ভয়ে ছিল। এসব স্বর্ণের বৈধতা দিতে সরকার প্রথম বারের মত স্বর্ণ মেলার আয়োজন করেছে। জুয়েলার্স ব্যবসায়ীদের অন্ধকার থেকে আলোর পথে ফেরার সুযোগ দিয়েছে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে তারা একটা স্বচ্ছতার মধ্যে আসবে। দেশের রাজস্ব আয় বৃদ্ধিতে ভ‚মিকা রাখবে।
গতকাল সোমবার সকালে স্বর্ণ মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক। তিনি আরও বলেন, একজন সুনাগরিক হতে হলে তাকে ঠিকমত আয়কর দিতে হবে। দেশকে এগিয়ে নিতে সঠিক এসেসমেন্টের মাধ্যমে প্রত্যেককে সঠিকভাবে আয়কর দিতে হবে। বাজেটের ৯০ শতাংশ টাকাই আজ রাজস্ব থেকে আসে। সরকারকে এখন খুব বেশি লোন নিতে হয় না। আয়কর কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ৩০ জুন পর্যন্ত এটা খুবই অল্প সময়। তাই সময় বৃদ্ধি করা হলে জুয়েলার্স ব্যবসায়ীদের এই সুযোগ গ্রহণে আরও বেশি সারা পাওয়া যাবে। সরকারের এই কার্যক্রম সফল করতে আয়কর কর্মকর্তাদের আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন খুলনা কর অঞ্চলের কমিশনার প্রশান্ত কুমার রায়। বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (কর তথ্য ব্যবস্থাপনা ও সেবা) মোঃ আলমগীর হোসেন, কাস্টম, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনার মোঃ মোস্তবা আলী, মোংলা কাস্টম হাউজ কমিশনার সুরেশ চন্দ্র বিশ্বাস, খুলনা কর আপীল অঞ্চলের কমিশনার মোঃ রফিকুল ইসলাম চৌধুরী, খুলনা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সহ-সভাপতি মোঃ মোস্তফা জেসান ভুট্টো, বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি খুলনা জেলার সভাপতি শ্যামা প্রসাদ কর্মকার। এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত কর কমিশনার খালেদ শরীফ আরেফিন খান, যুগ্ম কর কমিশনার মঞ্জুর আলম, উপকর কমিশনার খোঃ তারিফ উদ্দিন আহমেদ (সদর দপ্তর প্রশাসন), মোঃ শামসুজ্জামান (সদর দপ্তর প্রায়োগিক), মোঃ হাসানুজ্জামান, বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি খুলনা জেলার সাধারণ সম্পাদক শংকর কর্মকারসহ জুয়েলার্স ব্যবসায়ীবৃন্দ ও আয়কর কর্মকর্তাবৃন্দ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন উপ কর কমিশনার মিজ দেলোয়ারা জাহান।
খুলনা কর অঞ্চল সূত্র জানায়, মেলার প্রথম দিনে ৭২ জন স্বর্ণ ব্যবসায়ী তাদের মজুদকৃত স্বর্ণ, রূপা ও হিরার ঘোষণা দিয়েছেন। তাদের কাছ থেকে ৪ কোটি ৩৯ লাখ ৯৯ হাজার ৯শত টাকার রাজস্ব আদায় করা হয়েছে।