খুলনায় সমন্বিত অফিস ভবন নির্মাণের সিদ্ধান্ত
তথ্য বিবরণী
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মতো খুলনা জেলাতে সরকারি অফিসগুলোর জন্য সমন্বিত অফিস ভবন নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। খুলনাতে যে সকল সরকারি দপ্তরের নিজস্ব ভবন নেই সেইগুলোকে এই ভবনের আওতায় আনা হবে। গণপূর্ত বিভাগ এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। এজন্য ডিপিপি (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব) প্রণয়নের কাজ চলমান রয়েছে।
খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেনের সভাপতিত্বে গতকাল রবিবার সার্কিট হাউজ সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় এসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভায় সিদ্ধান্ত হয় নদী, খাল এবং কৃষিজমি যে কোন মূল্যে রক্ষা করা হবে। যারা এগুলো দখল করে অবৈধ স্থাপনা গড়ে তুলেছে তাদের উচ্ছেদ জোরদার করা হবে। কৃষিজমির খাত পরিবর্তন ব্যতীত কেউ হাউজিং সোসাইটি গড়ে তুললে তা অবৈধ হিসেবে গণ্য হবে।
সভায় জানানো হয়, অবৈধ ইটভাটা এমাসের মধ্যেই উচ্ছেদ করা হবে। এছাড়া উপজেলা পর্যায়ে আবাসিক, শিল্প ও কৃষি কাজে ব্যবহার উপযোগী জায়গা চিহ্নিত করে একটি মাস্টারপ্লান প্রস্তুত করার সিদ্ধান্ত হয়। ফলে এখন থেকে কেউ যত্রযত্র বাড়িঘর বা শিল্প কারখানা নির্মাণ করতে পারবে না।
সভাপতি তাঁর বক্তৃতায় বলেন, খুলনা খুলনা জেলার সকল সরকারি দপ্তরে দ্রæতই ই-ফাইলিং চালু করতে হবে। এজন্য এটুআই প্রকল্পের আওতায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।
সভায় আরও জানানো হয়, বটিয়াঘাটা ও তেরখাদাতে বঙ্গবন্ধু ও শেখ আবু নাসেরের নামে পৃথক দুটি অর্থনৈতিক জোন গড়ে তোলার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
সভায় কৃষি বিভাগের উপরিচালক পঙ্কজ কান্তি মজুমদার, সিভিল সার্জন ডাঃ সুজাত আহমেদ, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামান, সকল উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউএনওসহ সরকারি অফিসের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।