খুলনায় বিএনপি নেতাদের পিটিয়েছে পুলিশ, মামলা-হয়রানির অভিযোগ
সংবাদ সম্মেলনে মঞ্জুর অভিযোগ
দ. প্রতিবেদক
খুলনায় বিএনপির সিনিয়র নেতাদের বেধড়ক পিটিয়েছে পুলিশ। পুলিশের স্বেচ্ছাচারিতার রূপ দেখছি আমরা। পুলিশ নতুন করে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর নিপীড়ন, হয়রানিমূলক মামলা ও গ্রেফতার শুরু করেছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় নগরীর কে ডি ঘোষ রোডের দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহানগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু। নগর ও জেলা বিএনপি এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
সংবাদ সম্মেলনে মঞ্জু বলেন, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ নতুন করে তালিকা করে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিপীড়ন করছে। চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবিতে সোমবার পূর্বঘোষিত শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পুলিশ অতর্কিত হামলা চালিয়ে বেধড়ক লাঠিপেটা করে। পুলিশ ৭১ জন নেতাকর্মীকে আহত করে উল্টো বিএনপির ৪১ নেতাকর্মীসহ ৩২০ জনকে আসামি করে পৃথক মামলা করেছে। যার মধ্যে সাতজন গ্রেফতার। গ্রেফতার আতঙ্কে নেতাকর্মীরা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
সংবাদ সম্মেলনে মঞ্জু বলেন, পুলিশ এভাবে আমাদের পেটাতে পারে না। আমাদের অনুরোধ করতে পারে। বিএনপি নেতাকর্মী ছাড়াও ১০ জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন।
পুলিশের হামলা বন্ধের আহŸান জানিয়ে মঞ্জু বলেন, বিএনপি একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দল, তাদের কর্মসূচিতে বাধা দেওয়ার কোন অধিকার পুলিশের নেই। সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে অসভ্য আচরণ, লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করা পুলিশের সুনাম ও ঐতিহ্য পরিপন্থি। তিনি অবিলম্বে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান। একই সঙ্গে গ্রেফতারদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনি, বিএনপি নেতা শেখ মোশাররফ হোসেন, এ্যাড. বজলুর রহমান, এ্যাড. ফজলে হালিম লিটন, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, মনিরুজ্জামান মন্টু, মোল্লা খায়রুল ইসলাম, আব্দুর রাকিব মল্লিক, আবু হোসেন বাবু, মাহবুব কায়সার, আসাদুজ্জামান মুরাদ, মেহেদী হাসান দিপু, মহিবুজ্জামান কচি, ইকবাল হোসেন খোকন, নিজামুর রহমান লালু, ওয়াহিদুজ্জামান রানাসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবি জানানো হয়।