খুলনায় বন্দুকযুদ্ধে নিহতের ঘটনায় ১৬ জনের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ
দ. প্রতিবেদক
খুলনায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ (ক্রস ফায়ারে) নিহতের প্রায় দুই বছর আট মাস পর আদালতে ছেলে হত্যার অভিযোগ এনে নালিশি পিটিশন করলেন মা। ওই পিটিশনে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ২১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শামসুজ্জামান মিয়া স্বপন ও সদর থানার সাবেক ওসি এমএম মিজানুর রহমানসহ ১৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত (লবণচরা) অঞ্চলে নালিশি পিটিশনটি করেন রেক্সোনা বেগম। তিনি লবণচরা থানার চানমারী এলাকার জাহাঙ্গীর তালুকদারের স্ত্রী।
মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলাম বাদীর নালিশি পিটিশনটি তদন্তের জন্য সদর থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। ৩০ মার্চ পুলিশ রিপোর্ট প্রাপ্তির জন্য দিন নির্ধারণ করেছেন। বাদীর ছেলে রাজু হোসেন ওরফে বাবু ২০১৭ সালে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন।
অন্য আসামিরা হলেন- এসআই দেবাশীষ, এসআই টিপু, এএসআই আনোয়ার, এএসআই মোশারফ, এএসআই আলমগীর, রবি, সাজু, শামছু ব্যাপারী, মানিক, নান্নু, ইমরুল, কঁচি, কালা বাবু ও রাসেল।
বাদীর নালিশি পিটিশনে বলা হয়, ২০১৭ সালের ১৬ জুলাই ভোরে সদর থানা পুলিশের একটি টিম বাদীর ছেলে রাজু হোসেন ওরফে বাবুকে মাইক্রোযোগে তুলে নিয়ে যায়। পরদিন সকালে তার গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে গিয়ে শনাক্ত করেন বাদী। বাদীর ছেলের মৃত্যুতে অভিযুক্তদের যোগসাজস রয়েছে বলে তিনি পিটিশনে দাবি করেন।
এ বিষয়ে সদর থানার সাবেক ওসি এমএম মিজানুর রহমান বলেন, আদালতে নালিশি এ পিটিশন দাখিলকারী বাদীর ছেলে রাজু হোসেন ওরফে বাবু দুটি হত্যা মামলাসহ ছিনতাই-চাঁদাবাজির অভিযোগের একাধিক মামলার আসামি। জোড়াগেট এলাকায় সাইদুল হত্যার পর আত্মগোপনে থাকা এ আসামিকে গ্রেপ্তারের অভিযানে পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে সে মারা যায়। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র উদ্ধার হয়েছিল।
এ বিষয়ে কেসিসির ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শামসুজ্জামান মিয়া স্বপন বলেন, জনপ্রতিনিধিত্ব করতে গিয়ে অনেক সময় খারাপ মানুষের বিপক্ষে অবস্থান নিতে হয়। এ কারণে অনেকে বেকায়দায় ফেরার চেষ্টা করেন।