খুলনায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার তদারকিতে মাঠে ভ্রাম্যমান আদালত
জয়নাল ফরাজী
বিশ্বব্যাপী মহামারী হিসেবে দেখা দেওয়ায় নভেল করোনাভাইরাসের অজুহাত দেখিয়ে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী, মজুদদাররা চাল, ডাল, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে মূল্যবৃদ্ধি করছে। এতে অতিরিক্ত দামে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি কিনতে হচ্ছে ভোক্তাদের।
খুলনায় যাতে কোন ব্যবসায়ী দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করে অস্থিতিশীল করতে না পারে সে লক্ষ্যে বাজার মনিটরিংয়ে মাঠে নেমেছে জেলা প্রশাসন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের একাধিক ভ্রাম্যমান আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার নগরীর বাজারগুলোতে ভ্রাম্যমান আদালতগুলো মনিটরিং করে।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে খুলনা জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হেলাল হোসেন এর নেতৃত্বে খুলনা মহানগরীর বড় বাজার এলাকায় বাজার মনিটরিং এ বের হয় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটবৃন্দ। অভিযান পরিচালনাকালে নিউমার্কেটের কাঁচা বাজারে নির্ধারিত মূল্যের অতিরিক্ত দামে চাল বিক্রির অপরাধে মো. সাফিকুল ইসলাম নামের এক দোকাদারকে তিন হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া আহসান আহমেদ রোড এলাকায় অধিক দামে মাস্ক বিক্রির অপরাধে পুলকেশ সরকার নামের একজনকে ৫০০ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। ভ্রাম্যমান আদালতটি পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম রাসেল ইসলাম নূর ও দেবাশীষ বসাক।
এদিকে বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাস সংকট অজুহাতে দ্রব্যমূল্যের বাজার যাতে অস্থিতিশীল করতে না পারে সে লক্ষ্যে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ দপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ ইব্রাহীম হোসেন-এর নেতৃত্বে গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় খুলনা বড় বাজারে বাজার অভিযান পরিচালিত হয়। এসময় মূল্য তালিকা না থাকা, একই দিনে ভিন্ন ভিন্ন দামে চাল বিক্রি ও প্যাকেটজাত খাদ্যপণ্যের মেয়াদ উল্লেখ না থাকায় ৩টি প্রতিষ্ঠানকে সাত হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এসময় বেশ কিছু খাদ্য গুদাম পরিদর্শন করা হয়।
অভিযানে জেলা বাজার কর্মকর্তা আব্দুস সালাম তরফদার, সদর থানার সহকারী পুলিশ কমিশনার মোঃ হাফিজুর রহমান, সহকারী পরিচালক শিকদার শাহিনুর আলম ও নাজিমুল হাসানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন বলেন, করোনা ভাইরাস এর ব্যাপারে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং এ বিশেষ পরিস্থিতিতে যেন কেউ অতিরিক্ত খাদ্যদ্রব্য মজুদ বা দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করে অস্থিতিশীলতা তৈরি করতে না পারে সে ব্যাপারে অভিযান পরিচালিত হয়। অসাধু উদ্দেশ্যে কেউ অতিরিক্ত খাদ্যদ্রব্য মজুদ বা দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করলে আইনানুসারে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে এ মর্মে নির্দেশনা প্রদান করা হয়।