December 22, 2024
আঞ্চলিক

খুলনায় দুই জঙ্গি গ্রেফতারে এসআই রহিতের সাহসী ভূমিকা

দ. প্রতিবেদক

নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের সাথে জড়িত খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে গ্রেফতারে এসআই রোহিত কুমার বিশ্বাসের সাহসী ভূমিকা রয়েছে। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি)’র সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় তিনি সেকেন্ড অফিসার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

গত ২৪ জানুয়ারি দিবাগত রাত আড়াইটা থেকে ভোর সাড়ে ৫টার পর্যন্ত নগরীর পুরাতন গল্লামারী রোডের হাসনাহেনা নামের ২৩/৪নং বাড়ির নিচতলায় অভিযান চালিয়ে খুবি’র দু’শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে বেশ কিছু বোমা তৈরির সরঞ্জাম জব্দ করেছে পুলিশ। অভিযানে সোনাডাঙ্গা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মমতাজুল হকের নেতৃত্বে সেকেন্ড অফিসার এসআই রহিত কুমার বিশ্বাসসহ সঙ্গীয় ফোর্স ছিলেন। এ ঘটনায় সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়।

ওই মামলায় পুলিশ তাদেরকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আরও তথ্য বেড়িয়ে আসে। মহানগর হাকিমের আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ধারার জবানবন্দিতে ওই দু’জন জঙ্গী স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেয়। মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ড. আতিকুস সামাদ ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় তাদের দেয়া জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে তারা বলেন, নগরীর খানজাহান আলী থানা এলাকায় ও আড়ংঘাটা থানা এলাকায় বোমা হামলার ঘটনায় তারা সম্পৃক্ত ছিলেন। এছাড়া তারা দু’জন নিষিদ্ধ জঙ্গী সংগঠনের সদস্য।

ওই দু’জন জঙ্গী হলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এইচআরএম ডিসিপ্লিনের ৪র্থ বর্ষের ছাত্র নুর মোহাম্মদ অনিক (২৪)। সে মানিকগঞ্জ জেলার ঘিওর উপজেলার মোড়াবাড়ী গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে। তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলের ৩১৮ নম্বর রুমে থাকতেন। একই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান ডিসিপ্লিনের ৪র্থ বর্ষের ছাত্র মোঃ মোজাহিদুল ইসলাম রাফি (২৩)। সে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার ঘাগুর দুয়ার গ্রামের মোঃ রেজাউল করিমের ছেলে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের খানবাহাদুর আহছানউল্লাহ হলের ২০৩ নম্বর রুমে থাকতেন।

 

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *