September 21, 2024
আঞ্চলিককরোনালেটেস্ট

খুলনায় তিন দিনে ৭৩ জনের করোনা পরীক্ষা, আক্রান্ত নেই

জয়নাল ফরাজী
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চালু হওয়া ল্যাবে গত তিন দিনে ৭৩ জনের করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। যার সবগুলো পরীক্ষাই নেগেটিভ এসেছে। অর্থাৎ এদের মধ্যে কেউই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে এতথ্য নিশ্চিত করেছেন খুলনার সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান ডা. শাহনাজ পারভীনের বরাত দিয়ে সিভিল সার্জন জানান, খুলনায় গত তিন দিনে ৭৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্য মঙ্গলবার ১২ জনের, বুধবার ২২ জনের ও বৃহস্পতিবার ৩৯ জনের। যার সবগুলোই নেগেটিভ এসেছে। তাদের কেউই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নন।
তিনি আরও জানান, রূপসা উপজেলা থেকে আগত সন্দেহভাজন দুইজনের নমুনাসহ সকল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। তাদের শরীরেও করোনা ধরা পরেনি।
এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে খুলনা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সার্কিট হাউজে করোনা পরিস্থিতি, কর্মহীন মানুষের জন্য সরকারি ত্রাণ বিতরণ বিষয়ে মিট দ্যা প্রেসে খুলনায় কেউ করোনায় আক্রান্ত নন বলে জানান খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মুন্সী মোঃ রেজা সিকান্দার।
তিনি আরও জানান, খুলনা ডায়বেটিক হাসপাতাল ইতোমধ্যে করোনভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। এখানে চারটি ভেন্টিলেটার সুবিধাসহ ১০০টি বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ইতোমধ্যে ৭০ জন চিকিৎসক এবং ৪২ জন নার্সের সমন্বয়ে চিকিৎসাদল গঠন করা হয়েছে। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ফ্লু কর্নার স্থাপন করা হয়েছে। এখানে করোনাভাইরাস সন্দেহ বা শনাক্ত হলে তাদেরকে ডায়বেটিক হাসপাতালে এনে চিকিৎসা দেওয়া হবে। চিকিৎসকরা নগরীর সিএসএস আভা সেন্টারে অবস্থান করবেন। রোগীদের আইসোলেশনের জন্য এ্যাম্বাসেডর এবং মিলিনিয়াম হোটেল দুটো প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, খুলনা সিটি কর্পোরেশনে ১৬ লাখসহ খুলনা জেলায় ২৪ লাখ মানুষের মানুষের বাস। জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে এসকল মানুষের নিয়মিত খোঁজ খরব নেওয়া হচ্ছে। জাতির এই ক্রান্তিকালে সাংবাদিকরা যদি দায়িত্বশীল হয়ে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করেন তাহলে সমন্বয় করে সরকারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ সহজ হবে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে দেশকে রক্ষা করা সম্ভব হবে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন জানান, খুলনা জেলার জন্য ইতোমধ্যে আটশ মেট্রিক টন চাল এবং ৪১ লাখ নগদ অর্থ বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে তিন লাখ টাকা শিশু খাদ্যের জন্য বরাদ্দ আছে। এর সাথে স্থানীয় মজুদ যোগ করে ইতোমধ্যে ৯৫০ মেট্রিক টন চাল ও ১৫ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এসকল সাহায্য জনপ্রতিনিধি ও কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে বিতরণ চলছে। সাধারণ রোগে আক্রান্ত রোগীদের সেবা দেওয়ার জন্য একটি অনলাইন সেবা চালুর প্রক্রিয়াধীন আছে। সেটা দু’একদিনের মধ্যেই চালু হবে বলেও জানান জেলা প্রশাসক।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *