খুলনায় ট্যুর লঞ্চে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, মাস্টার-বাবুর্চিকে জরিমানা
দ: প্রতিবেদক
খুলনা থেকে সুন্দরবনে ট্যুর পরিচালিত লঞ্চ এমভি মা-রমায় অভিযান চালিয়ে মাস্টার ও বাবুর্চিকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল রবিবার বিকাল ৪টায় খুলনা জেলার প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেনের নির্দেশনায় এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসেন জানান, যাত্রীদের অভিযোগ তাদের সঙ্গে চুক্তি মোতাবেক এম ভি মা-রমা লঞ্চটি গন্তব্যে যায়নি এবং পথিমধ্যে চাহিত সেবাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দেয়নি। এছাড়া লঞ্চের মাস্টার পর্যটকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার এবং বাবুর্চির খাবার খেয়ে কয়েকজন পর্যটক অসুস্থ হয়ে পড়েন। অভিযানে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। লঞ্চের কোথাও দৃশ্যমান সার্ভে সনদপত্র পাওয়া যায়নি। অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় এবং আসামি দোষ স্বীকার করায় ভ্রাম্যমাণ আদালত আইনের তফসিলভুক্ত অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল অধ্যাদেশ-১৯৭৬ এবং ভোক্তা অধিকার আইন-২০০৯ এর বিভিন্ন ধারা ভঙের কারণে লঞ্চের মাস্টারকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং বাবুর্চিকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া লঞ্চের রুট পারমিট বাতিল করার জন্য বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনকে (বিআইডব্লিউটিসি) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
খুলনার পর্যটন বিকাশে ও পর্যটকের সুরক্ষা নিশ্চিতকরণে খুলনা জেলা প্রশাসনের এ অভিযান চলবে বলে জানান তিনি। অভিযানের সময় খুলনা সদর থানার একটি পুলিশ টিম এবং বিআইডব্লিউটিসি’র ইন্সপেক্টর সুলতান আহমেদ ও ফুড ইন্সপেক্টর মুজিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।