খুলনায় জাতির পিতার ৯৯তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসের কর্মসূচি
স্বাধীনতার মহান স্থাপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০১৯ আগামী ১৭ মার্চ যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে উদযাপনের জন্য জাতীয় কর্মসূচির আলোকে খুলনায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নানামূখী কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, র্যালি, শিশু সমাবেশ, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, রচনা, চিত্রাংকন, সুন্দর হাতের লেখা, উপস্থিত বক্তৃতা, দোয়া-মাহফিল, চলচ্চিত্র প্রদর্শন এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন প্রতিযোগিতা।
১৭ মার্চ সকাল আটটায় খুলনা নিউ মার্কেট হতে বর্ণাঢ্য র্যালি শুরু হয়ে বাংলাদেশ বেতার খুলনা কেন্দ্রে অবস্থিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শেষ হবে। বিকেল তিনটায় শহীদ হাদিস পার্কে শিশু সমাবেশ, দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা সভা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।
১৬ মার্চ জেলা শিশু একাডেমি ভবনে সকাল ১০টায় শিশুদের মধ্যে রচনা এবং চিত্রাংকন, সুন্দর হাতের লেখা ও উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।
এ ছাড়া ১৭ মার্চ সুবিধামত সময়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আলোচনা সভা, রচনা প্রতিযোগিতা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। রচনা প্রতিযোগিতার বিষয় ‘বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ’। ঐদিন দুপুরে দুঃস্থ,ভবঘুরে শিশুদের বিশেষ খাবার পরিবেশন এবং সুবিধামতো সময় বিভিন্ন মসজিদে মিলাদ-মাহফিল ও দোয়া অনুষ্ঠান এবং অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হবে। খুলনা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে খুলনা কালেক্টরেট জামে মসজিদে বাদ জোহর মিলাদ-মাহফিল ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। জেলা ক্রীড়া অফিস সুবিধাজনক সময়ে দিবস উপলক্ষে শিশুদের খেলার আয়োজন করবে।
১৭ মার্চ সন্ধ্যা সাতটায় শহীদ হাদিস পার্কে জেলা তথ্য অফিসের উদ্যোগে জাতির পিতার জীবনাদর্শের ওপর তথ্যভিত্তিক ভ্রাম্যমান চলচ্চিত্র প্রদর্শন ও বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ প্রচার করা হবে। স্থানীয় পত্রিকায় বিশেষ নিবন্ধ ও ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে। জেলা শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে শহীদ হাদিস পার্কে ১৭ থেকে ২০ মার্চ পর্যন্ত বিকেলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা থাকবে।
উপজেলা পর্যায়েও অনুরূপ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।