খুলনায় চুরি দেখে ফেলায় গৃহকত্রীকে হত্যা, আদালতে স্বীকারোক্তি
দ. প্রতিবেদক
খুলনা মহানগরীর দৌলতপুরে চোরের লোহার পাইপের আঘাতে শিউলি সালমা হত্যা মামলায় আটক চোর মিরাজ (১৯) আদালতে দণ্ডবিধির ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। রবিবার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমিরুল ইসলামের আদালতে এ জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে।
জানা গেছে, গত বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টায় দৌলতপুর থানাধীন মহেশ্বরপাশা সাহাপাড়া এলাকায় আব্দুস সালাম শরীফের বাড়িতে চুরি করতে যায় ওই বাড়ির কাজের মেয়ে হেনা বেগমের ছোট ভাই মিরাজ (১৯)। ওই সময় বাড়ির লোকজন মিরাজকে দেখে চোর চোর বলে চিৎকার দেয়। চোর মিরাজ হাতে থাকা লোহার পাইপ দিয়ে বাড়ির মালিক আব্দুস সালামের স্ত্রী শিউলি সালমা (৬২)’র মাথায় আঘাত করলে তিনি গুরুতর আহত হন। এরপর তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বুধবার দিবাগত রাত আনুমানিক আড়াইটার সময় চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিউলি সালমা বেগম মারা যান। এ ঘটনায় দৌলতপুর থানায় প্রথমে চুরি মামলা হলেও পরবর্তীতে বৃহস্পতিবার হত্যা মামলা দায়ের হয়।
এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন জানান, চোর মিরাজকে শনিবার রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে। রবিবার মিরাজ আদালতে ঘটনার বিবরণ দিয়ে এ হত্যায় সে জড়িত থাকার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এর আগে কাজের মেয়ে হেনাকে গ্রেফতারের পর গত বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করলে জেলহাজতে প্রেরণ করেন আদালত।
দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন/ এম জে এফ