খুলনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুই করোনা রোগীর মৃত্যু
দ. প্রতিবেদক
খুলনায় চিকিৎসাধীন দুই করোনা আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তবে এদের কেউই খুলনার বাসিন্দা নন। এদের একজন যশোর জেলার নওয়াপাড়ার, অপরজন নড়াইল জেলার নড়াগাতী থানার। তারা দু’জনে খুলনা করোনা হাসপাতাল ও গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।
গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্ণধার ডা. গাজী মিজানুর রহমান জানান, স্ট্রোক ও কিডনি রোগে আক্রান্ত যশোরের নওয়াপাড়া এলাকার আমীর হোসেন (৭৫) এক সপ্তাহ আগে এই হাসপাতালে ভর্তি হন। শনিবার দুপুরে তিনি মারা গেছেন। তিনি যে করোনায় আক্রান্ত ছিলেন সেই তথ্য তার পরিবার গোপন করেছে। এর ফলে তারা এখন বিপাকে পড়েছেন। তিনি জানান, হাসপাতালের একটি আইসিইউ এখন লকডাউন করা হবে।
হাসপাতালের যশোরের অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মাহমুদুর রহমান রিজভী জানান, গত ৩০ মে আমীর হোসেনের নমুনা সংগ্রহ করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ল্যাবে পাঠানো হয়। শুক্রবার তার রিপোর্ট করোনা পজেটিভ আসে। এরপর শনিবার তিনি মারা গেছেন।
অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল হোসাইনও মৃত আমীর হোসেন করোনায় আক্রান্ত ছিলেন বলে নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে নওয়াপাড়ার শংকরপাশা এলাকায় তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
এর আগে আজ শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের আওতাভুক্ত করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মো. আলী মিয়া (৬০) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। তিনি নড়াইল জেলার নড়াগাতী থানার খাশিয়াল গ্রামের মোয়াজ্জেম শেখের ছেলে। তিনি পেশায় একজন ইমাম ছিলেন।
করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের ফোকাল পার্সন ডা. শেখ ফরিদ উদ্দীন আহমেদ বলেন, ওই ব্যক্তির ফুসফুসে আগে থেকেই সমস্যা ছিল। তিনি গত ২৫ মে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। গত পাঁচ দিন আগে একবার তার করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট এসেছিল। তবে ফুসফুসে মারাত্মক সমস্যা থাকায় তাকে ছাড়া হয়নি। বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা গেছেন। মরদেহ এখনো হাসপাতালে আছে। নিয়ম অনুযায়ী মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
এ নিয়ে খুলনায় করোনা আক্রান্ত ৬ জনের মৃত্যু হলো। এর আগে খুলনার রূপসা উপজেলার ৩ জন ও দিঘলিয়া উপজেলার ১ জন মারা গিয়েছিলেন।